কবি শহীদ কাদরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : আগস্ট ২৮, ২০২৪ । ১২:২৭ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-

প্রিন্ট/ই-পেপার

আজ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শহীদ কাদরীর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট নিউইয়র্কের নর্থ শোর বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা শহীদ কাদরী ছিলেন কবিতায় মানবিকতা ও প্রেমের প্রবলতম কণ্ঠস্বর।

কবি শহীদ কাদরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট কলকাতার পার্ক সার্কাসে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত একটি সংকলনে। দেশভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং তিন দশক এখানে কাটানোর পর বার্লিন, লন্ডন, বোস্টন ঘুরে শেষ পর্যন্ত নিউইয়র্কে স্থায়ী হন।

কবিতায় মানবিকতা, প্রেম, এবং সামাজিক বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিয়ে কবি শহীদ কাদরী তার সাহিত্য জীবন শুরু করেন। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘উত্তরাধিকার’ ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত হয়, যা আধুনিক কবিতায় তাকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে আসে। এরপর তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘তামাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’ ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে প্রকাশিত হয় ‘প্রেম বিরহ ভালোবাসার কবিতা’, ‘কোথাও কোন ক্রন্দন নেই’ এবং প্রবাসে রচিত ‘আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দিও।’

শহীদ কাদরীর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা চারটি এবং এসব গ্রন্থে মোট ১২২টি কবিতা রয়েছে। পরবর্তীতে আরও চারটি কবিতা লিখেন, যার তিনটি “কালি ও কলম” সাহিত্যের পত্রিকায় এবং একটি “প্রথম আলো” ঈদ সংখ্যায় ছাপা হয়। সব মিলিয়ে তার কবিতার সংখ্যা দাঁড়ায় ১২৬টি।

কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য শহীদ কাদরী ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১১ সালে একুশে পদক লাভ করেন। তার কবিতা পাঠকদের চিন্তার গভীরে নিয়ে যায়, যেখানে পররাষ্ট্রনীতির চেয়ে মানবিকতা এবং মাইক্রোফোনের মিথ্যা কথামালার চেয়ে বকুলের ঘ্রাণ বেশি মূল্যবান। কবি শহীদ কাদরীর কাব্যিক শক্তি ও দৃষ্টিভঙ্গি বাংলা সাহিত্যে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।