সর্বশেষ :

ঢাকায় আমাদের হাতে আর কেউ আটক নেই: ডিজিএফআই


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : আগস্ট ৭, ২০২৪ । ৭:৫৭ অপরাহ্ণ
ঢাকায় আমাদের হাতে আর কেউ আটক নেই: ডিজিএফআই

ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইনটেলিজেন্স (ডিজিএফআই) জানিয়েছে, ঢাকায় তাদের হাতে বর্তমানে কেউ আটক নেই। তারা যৌথ কমিশন গঠন করে দেশের অন্যান্য জায়গায় সেনাবাহিনীর হাতে কেউ গুম হয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখবেন।

বুধবার সকালে মানবাধিকার কর্মীদের একটি প্রতিনিধি দল শিরিন হকের নেতৃত্বে ঢাকা সেনানিবাসে ডিজিএফআই সদরদপ্তরে গেলে এই তথ্য জানানো হয়। বৈঠকের পর শিরিন হক ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের বলেন, ডিজিএফআই জানিয়েছে যে ঢাকায় তাদের হাতে কেউ আটক নেই এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।

তবে, ডিজিএফআইয়ের এই বক্তব্যে ভুক্তভোগী পরিবাররা সন্তুষ্ট নন। দুপুর দেড়টায় তাদেরকে ডিজিএফআই সদরদপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর গুম হওয়া আতাউর রহমানের স্ত্রী নাদিরা সুলতানা বলেন, স্বামী গুম হওয়ার পর তিনি ঢাকা ছেড়ে মাদারীপুরে চলে যান। বুধবার ভোররাতে ঢাকায় ফিরে আসেন তার নিখোঁজ স্বামীকে খুঁজে পাওয়ার আশায়।

এদিকে, ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে গুম হওয়া ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মী মাইকেল চাকমা বুধবার চট্টগ্রামে তার এক বন্ধুর বাসায় ফিরে এসেছেন। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তির বিষয়ে ডিজিএফআইয়ের সঙ্গে মানবাধিকার কর্মীরা আলোচনা করার সময়ই মাইকেল চাকমার ফিরে আসার খবর পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, মাইকেলের নিখোঁজ হওয়ার প্রায় এক মাস আগে চট্টগ্রাম থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) কর্মী মায়াধন চাকমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার খোঁজ এখনো মেলেনি।

ডিজিএফআই সদরদপ্তরে যাওয়া প্রতিনিধি দলে ছিলেন ‘অধিকার’ সম্পাদক আদিলুর রহমান খান, ‘মায়ের ডাক’ এর সহপ্রতিষ্ঠাতা সানজিদা ইসলাম তুলি এবং শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সিআর আবরার।

শিরিন হক আরও জানান, তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। গতকাল ডিজিএফআই জানায়, গুম হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের নির্যাতনের স্থান হিসেবে পরিচিত ‘আয়নাঘর’ এ রাখা হয়েছিল, তাদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বুধবার জানানো হবে।

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১