ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীকে মারধর করায় আওয়ামী লীগ নেতাকে দিগম্বর করে গণপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। এসময় আওয়ামীলী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতারা আশ্রয় নেয়ায় থানা ঘেরাওসহ একটি হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট ও দুটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। এসময় শিশুসহ অন্তত ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আহুত অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রোববার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বর এলাকায় বিক্ষোভ করতে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে মিছিল করতে থাকে। এসময় আন্দোলনরত একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রীকে বেধরক মারধর করে আন্দোলন বিরোধীরা। এর আধা ঘন্টা পর আন্দোলনকারীরা আবার সংগঠিত হয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের ধাওয়া করে। বিক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে যোগ দেয় আন্দোলনকারীদের সাথে। হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মহাসড়ক দখল করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
এদিকে ছাত্র-জনতার ধাওয়া খেয়ে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা আশুগঞ্জ থানাসহ একটি হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট ও একটি বেসরকারি হাসপাতালে আশ্রয় নেয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা থানা ঘেরাও করলে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এতে শিশুসহ অন্তত ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আন্দোলনকারীদের ইট-পাটকেলে আহত হয়েছে ২জন পুলিশও। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আন্দোলনকারীদের আক্রমণের শিকার হয়ে আহত হন বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক আল মামুন।
আন্দোলনকারীরা হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট ভোজন বিলাসের দরজা ভেঙ্গে সেখানে আশ্রয় নেয়া সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিনকে মারধর করে দিগম্বর করে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন মারাত্মক আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। এসময় আরো বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকেও মারধর করে আন্দোলনকারীরা।
এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতারা আশ্রয় নেয়ায় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা পুলিশ ক্যাম্প ও লাভিডা হাসপাতালে ভাংচুর করে।
আপনার মতামত লিখুন :