বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচির কারণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ উত্তাল। এই পরিস্থিতিতে সরকার পুনরায় ইন্টারনেট সেবা সীমিত করেছে। রোববার দুপুরে মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়, যা পরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগেও কার্যকর করা হয়েছে।
মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের পর ব্রডব্যান্ড বা ওয়াই-ফাইয়েও এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। তবে সোমবার বেলা ২টা পর্যন্ত ইউটিউব সচল রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচির ফলে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা জড়ো হচ্ছে। সারা দেশেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষে দুজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে এবং বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
এদিন বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়ে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পিছু হটেছে। কোথাও কোথাও পুলিশ অনুপস্থিত ছিল। পরিস্থিতি খারাপ হলে সরকারি একটি সংস্থা মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেয়, এর পরপরই ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে, গত ১৮ জুলাই সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। দশ দিন পর ইন্টারনেট সেবা পুনরায় চালু করা হলেও এবার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :