বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত সবজি মুলা। প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হয় এটি। কিন্তু চাহিদা সে তুলনায় কমই। কারণ, অনেকেরই অবহেলার পাত্র এই সবজি। মুলায় গন্ধ, খেলে গ্যাসের সমস্যা হয়- এমন অভিযোগ তুলে অনেকেই মুলা পাতে তোলেন না।
কিন্তু এর গুণের কথা জানলে আর অবহেলা করার সুযোগ পাবেন না।বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মুলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফোলেট, রাইবোফ্ল্যাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি ৬. ভিটামিন কে, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস, কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং সোডিয়ামের মতো অত্যন্ত উপকারী কিছু উপাদান।
এসব উপাদন ক্যানসার প্রতিরোধ এবং শরীরের বাড়তি ওজন কমানোসহ নানাবিধ উপকার করে থাকে। তাই নিয়মিত এই সবজি পাতে রাখলে যে শরীর স্বাস্থ্য চাঙ্গা থাকবে, তা তো বলাই বাহুল্য। সুতরাং চটজলদি মুলার কিছু গুণের কথা জেনে নেই।
ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে
ক্যানসার একটি প্রাণঘাতী অসুখ। এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর জীবনে নেমে আসে বড়সড় বিপদের খাঁড়া। এমনকি রোগীর সঙ্গে তার পরিবারও ভুগতে থাকে। তাই যেনতেন প্রকারে এই অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে চলতে হবে।
এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আপনারই অবহেলার সবজি মুলা। আসলে এই সবজিতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা কি না ক্যানসার প্রতিরোধ করার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই এই মারণ রোগের ফাঁদ এড়াতে চাইলে নিয়মিত মুলা খান।
কমবে বাড়তি ওজন
শরীরের ওজন বেশি থাকলে একাধিক জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়! তাই যেনতেন প্রকারে ওজন কমাতে হবে। এ কাজেও আপনাকে সাহায্য করতে পারে মুলা। এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা ওয়েট লসে সাহায্য করে। তাই ওজনের কাঁটাকে নিম্নমুখী করতে চাইলে নিয়মিত পাতে রাখুন মুলা।
পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
এ দেশের অধিকাংশ মানুষ গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং পেট ফাঁপার মতো সমস্যায় জর্জরিত। জানলে অবাক হবেন, মুলায় মজুত থাকা ডায়েটরি ফাইবার গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যাকে হেলায় হারিয়ে দিতে পারে। এমনকি এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমায়।
ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে কার্যকরী
আমাদের আশপাশে রয়েছে অসংখ্য ছত্রাকের বাস। এসব ফাঙ্গাস কিন্তু ত্বক থেকে শুরু করে একাধিক অঙ্গের গুরুতর ক্ষতি করে। তাই সময় থাকতে মুলা খাওয়া চালু করুন। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, এই সবজিতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাস উপাদান। ফলে নিয়মিত এই সবজি খেলে ফাঙ্গাস ইনফেকশনের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যাবে।
বেরিয়ে যাবে টক্সিন
জিয়ারোলেলোন নামক একটি টক্সিনকে শরীর থেকে বের করে দেয়ার কাজে মুলার জুড়ি মেলা ভার। গবেষণায় দেখা গেছে, এই জিয়ারোলেলোন নামক উপাদান আমাদের ফার্টিলিটির ওপর আঘাত আনতে পারে।
তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার ‘জেন এফেক্ট’ দূর করার জন্য মুলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে বৈকি! তাই মুলাকে আর অবহেলা নয়, বরং এই সবজিকেও জায়গা করে দিন ডায়েট চার্টে।
সূত্র: ঢা/টা
আপনার মতামত লিখুন :