বাংলাদেশের ডিজিটাল অবস্থা সূচকে পিছিয়ে,বাস্তবে আরও বেশি
অনলাইন ডেস্ক
জুলাই ১৪, ২০২৪ । ৭:২১ অপরাহ্ণ
ফলো করুন-
সংগৃহীত ছবি
ভূমিকা: সরকার যতই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার কথা বলুক না কেন, বাস্তবতা ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে। বৈশ্বিক ডিজিটাল সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ হতাশাজনক।
১০০-এর মধ্যে ৬২ স্কোর করে বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোর গড় স্কোর (৬৪.৮) এর চেয়েও পিছিয়ে। এমনকি মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম ও ভুটানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায়ও বাংলাদেশের অবস্থা খারাপ।
কোথায় পিছিয়ে?
- বৈশ্বিক গড় ও নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোর গড় স্কোর দুটোতেই পিছিয়ে: ডিজিটাল সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বৈশ্বিক গড় (৭৪.৮) থেকে অনেক দূরে।
- মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সাবস্ক্রিপশনে এগিয়ে থাকলেও: এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এখনও পিছিয়ে।
- ইন্টারনেট গতি: বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে ৫% কম। মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট গড় গতি ২০Mbps, যখন বৈশ্বিক গড় ৫৩Mbps।
- ই-গভর্নমেন্ট: সূচকে ৭৩তম, যা বৈশ্বিক গড়মানের নিচে।
- ইন্টারনেট ক্রয়ক্ষমতা: ৭৭তম।
- ই-সিকিউরিটি: ৮৫তম।
- ফ্রিল্যান্সিং: ৩০ দেশের তালিকায় ২৯তম। ভারত ২য়, পাকিস্তান ২৮তম।
- ডিজিটাল জীবনমান: ৮২তম। এশিয়ার ৩২ দেশের মধ্যে ২৫তম।
কারণ:
- অপরিকল্পিত বিনিয়োগ: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হলেও তা খরচ হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে।
- টেকসই নীতিমালার অভাব: দেশজুড়ে ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলা হলেও টেকসই নীতিমালার আলোকে পরিকল্পিত ডিজিটালাইজেশন হয়নি।
- দক্ষ জনসম্পদের অভাব: প্রযুক্তি খাতের সঠিক বিকাশ হয়নি এবং দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলা যায়নি।
- ইন্টারনেটের নিরাপত্তা: সরকারি ওয়েবসাইটে ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। নিয়মিত সাইবার হামলা হচ্ছে।
ফলাফল:
- ডিজিটাল বিপ্লব ঘটেনি: নাগরিক জীবনে ডিজিটাল বিপ্লব সেভাবে ঘটেনি।
- সরকারি সেবার মান উন্নত হয়নি: ই-গভর্নমেন্ট ব্যবস্থা উন্নত হয়নি।
- অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাধা: ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে বাধা।
আপনার মতামত লিখুন :