ঢালিউড অভিনেতা শাকিব খান ও কলকাতার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর উরাধুরা ঝড়ে বাংলাদেশ ছিল বেসামাল। এপারে বক্স অফিসে ঝড় তুললেও ওপার বাংলায় সাড়া মেলেনি শাকিবের তুফান।
গত ৫ জুলাই ভারতে মুক্তি পাওয়া এ ছবি বাংলাদেশের বক্স অফিসে ঝড় তোলে। কিন্তু কলকাতায় সেই ঝড় দেখা গেল না। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে ছবিটি।
রায়হান রাফি পরিচালিত তুফান ছবিতে শাকিবের পাশে ‘উরাধুরা’ মাইয়্যা মিমির দেখা মিলেছে। টালিউডে তুফান নিয়ে নির্মাতাদের তুমুল প্রত্যাশা থাকলেও তার সিঁকিভাগও পূরণ হয়নি কলকাতায়। বাংলাদেশে এই ছবির টিকিট পেতে যেখানে মারামারি লেগে যায়, সেখানে উল্টোচিত্র কলকাতার হলগুলোতে। রীতিমতো মাছি তাড়াচ্ছেন হলমালিকরা।
তুফানের দুটি গান ‘লাগে উরাধুরা’ এবং ‘দুষ্ট কোকিল’ এই বাংলাতেও হিট। তবে বক্স অফিসে তার প্রভাব পড়েনি। ব্যবসা নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ফিগার সামনে আসেনি।
তবে প্রথম পাঁচ দিনে ভারত এ ছবির ব্যবসা করেছে মাত্র ৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ ১০ লাখের গণ্ডিও পার করতে পারেননি শাকিব খান। যদিও বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্য প্রান্তের ব্যবসা মেলালে এই ছবি নাকি ৩৫ কোটির গণ্ডি পার করে ফেলেছে।
এ বিষয়ে পরিচালক রায়হান রাফি আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তুফান বড় বাজেটের ছবি। বাংলাদেশে ১০-১৫ দিনের মধ্যে সেই টাকা আমরা তুলতে পেরেছি। অসাধারণ ঘটনা। তার মানে, বাণিজ্যিক ছবির চাহিদা এখনো রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে তুফান ঝড় না ওঠা প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, হাওয়া ও সুড়ঙ্গ ছবির ক্ষেত্রে একটু ভালো ব্যবসা করেছে তুফান (বাংলাদেশের ছবি)। তুফান-এ সেটি আরও একটু ভালো হয়েছে। আমার বিশ্বাস— আগামী দিনে বাংলাদেশের ছবি পশ্চিমবঙ্গে আরও বেশিসংখ্যক দর্শককে আকর্ষণ করবে।
ওপার বাংলার একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি— শাকিব খানের শেষ তিনটি সিনেমা (প্রিয়তমা, রাজকুমার) মেলালে ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে। প্রিয়তমার প্রযোজনা সংস্থা ভার্সেটাইল মিডিয়ার দাবি—তাদের ছবি বিশ্বব্যাপী ৪২ কোটি টাকার গ্রস কালেকশন এনে দিয়েছে, যা রেকর্ড আয়। নির্মাতাদের আশা— এ আয়কে ছাপিয়ে যাবে তুফান।
সূত্র: দৈ/যু
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :