সর্বশেষ :

দশমিনায় এক সমাজ সেবকের উদ্যোগে বন্যার্ত সাড়ে ৪শতাধিক মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ


ফয়েজ আহমেদ,দশমিনা: 
মে ২৯, ২০২৪ । ১২:২৯ অপরাহ্ণ
দশমিনায় এক সমাজ সেবকের উদ্যোগে বন্যার্ত সাড়ে ৪শতাধিক মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ
সংগৃহীত ছবি
ঘূর্ণিঝড় রিমাল কবলিত পটুয়াখালীর দশমিনায় প্রায় সাড়ে ৪শতাধিক বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্ত মানুষের মাঝে রান্না করা খাদ্য ও ঔষধ  বিতরণ করেছেন তরুণ সমাজসেবক এনায়েত হোসাইন খাঁন।
রবিবার ও সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত  ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপজেলার ৭টি  ইউনিয়নে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষের মাঝে এ খাদ্য ও ঔষধ বিতরণ করেন।
জানাগেছে, রোববার ও সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত ঘূর্নিঝড় রিমালে বিভিন্ন এলাকায় অবস্থানরত অসহায় প্রায় সাড়ে ৪শতাধিক পরিবারের মাঝে রান্না করা খাদ্য ও ঔষধ বিতরণ করেন ঐ সমাজসেবক দম্পতি।
বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া নদীর তীরবর্তী এলাকার হাবিব হাওলাদার বলেন, রবিবার সন্ধ্যা থেকে ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে  দিশেহারা হয়ে পরেছিলাম।
ঝড়ের ওই দিন থেকে বৃষ্টি ও তীব্র বাতাসের কারণে  নদীর পারে আমার ঘরে থাকা সম্ভব হয়নি। আমি রাস্তার পাশে একটি দোকানের ছাউনিতে  পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অবস্থান করি।
রোববার রাতে খাবার খেতে পারলেও সোমবার রাতে আমাদের কোন খাবার ছিলনা। ওই রাতে  আমাদের এলাকার তরুন সমাজসেবক এনায়েত খানের স্ত্রী খাবার নিয়ে আমাদের পাশে  হাজির হন। তার দেওয়া খাবার খেয়ে আমারা ক্ষুধা নিবারণ করতে পেরেছি। আল্লাহর কাছে সর্বদা তাদের জন্য দোয়া ও মঙ্গল কামনা করি।
এবিষয়ে তরুন সমাজ সেবক মোঃ এনায়েত হোসাইন খাঁন বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র মানুষ আর এই ক্ষুদ্র মানুষের সামান্য প্রচেষ্টায় ঘূর্ণিঝড় ও পানিবন্দী মানুষের জন্য উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ,
আশ্রয় কেন্দ্রের  বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা খিচুড়ি, মোমবাতি ও ঔষধ পৌঁছে দিয়েছি। ওই অসহায় মানুষগুলি যতদিন আশ্রয় কেন্দ্র থাকবে আমার এই প্রচেষ্টা ততদিন অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

ভিসি/এসকে


পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১