বয়সের ফারাক কিংবা ধর্মের বেড়াজাল কোনটাই আটকে পারেনি সাইফ-অমৃতার প্রেম। প্রথম দেখাতেই অমৃতার প্রেমে পড়েছিলেন সাইফ। টান কম ছিল না অমৃতারও। বেখুদি ছবির সেটে প্রথম দেখা তাদের। আলাপ থেকে একত্রবাস, খুব কম সময়েই এ সফর পার করেছিলেন তারা।
দীপক তিজোরি ‘টিপ্পসি’ দিয়ে পরিচালক হিসেবে কামব্যাক করছেন। অভিনেতা-পরিচালক তার সহকর্মীদের সম্পর্কে খোলামেলা বক্তব্য দিতে কখনো পিছপা হন না। সম্প্রতি জুম টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীপক জানান, কীভাবে অমৃতা সিং, সাইফ আলি খানকে দীপকের ছবি পেহলা নাশাকে সমর্থন না করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন।
৯০- দশকে রাহুল রায়, আমির খান, শাহরুখ খান এবং অন্যান্যদের সঙ্গে অনেক ছবিতে কাজ করেছেন দীপক। পেহলা নাশা ছিল নায়কের ভূমিকায় দীপকের প্রথম ছবি। অভিনেতা জানান, আশুতোশ গোয়ারিকর পরিচালিত এই ছবিতে রাহুল রায়, আমির খান, শাহরুখ খান এবং সাইফকে ক্যামিও দৃশ্যে অভিনয়ের অনুরোধ জানিয়েছিলে তিনি। সবাই একবাক্যে রাজি হয়ে যান।
বলিউডের অন্দরে ঈর্ষা, রেষারেষি তখনও অতোটা জায়গা করে নেয়নি। কিন্তু সাইফ এ ছবিতে ক্যামিও করুক চাননি স্ত্রী অমৃতা। তবে সাইফও দীপককে কথা দিয়ে ফেলেছেন, স্ত্রীর বারণ অমান্য করেই পেহলা নাশার শুট করেছিলেন তিনি।
দীপক বলেন, সাইফের তৎকালীন স্ত্রী (অমৃতা সিং) তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনি কী করছেন? আপনি কোথায় যাচ্ছেন? সাইফ বলেন, আমি শুটিংয়ে যাচ্ছি। আমি দীপকের ছবির অংশ হতে চলেছি।
তিনি বলেন, সত্যি? আপনি কিভাবে এটা করতে পারেন? আপনি জানেন যে আমরা এই সমস্ত জিনিস কখনো করিনি। কারা করে এসব?’ সাইফের কাছ থেকেই নাকি গোটা ঘটনা জেনে হয়রান হয়েছিলেন দীপক।
পেহলা নাশা ছিল রহস্য-থ্রিলার। ছবিতে রবিনা ট্যান্ডন, পূজা ভাট এবং পরেশ রাওয়াল গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এটি ব্রায়ান ডি পালমার ১৯৮৪ সালের থ্রিলার বডি ডাবলের রিমেক ছিল। শাহরুখ ও সাইফ ছাড়াও ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে ছিলেন জুহি চাওলা এবং সুদেশ বেরি।
৫ কোটি টাকা ভরণ-পোষণ দাবি করেছিলেন অমৃতা। জানা যায়, ২ দশমিক ৫ কোটি টাকা অমৃতাকে দিয়েছিলেন সাইফ। এছাড়াও ছেলে-মেয়ের দেখভালের জন্য মাস এক লাখ টাকা করে দিতেন।
২০০৫ সালে ডিভোর্সের পর এক সাক্ষাৎকারে সাইফ জানান, অসুস্থ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তিনি লজ্জিত নন। তিনি বলেন, ‘আমি সেরে উঠেছি ক্রমে। আমি এমন কাউকে জীবনে খুঁজে পেয়েছি যার কাছে আমি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সে আমাকে কখনো ছোট করে না।’
আপনার মতামত লিখুন :