সাতক্ষীরায় ধান ফসলের সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
রমজান আলী ,সাতক্ষীরা;
প্রকাশের সময় : মে ৪, ২০২৪ । ৪:৫৫ অপরাহ্ণ
ফলো করুন-
সাতক্ষীরায় ধান ফসলের সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কীটতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে শনিবার বেলা ১১ টায় তালা উপজেলার সেনেরগাতি এলাকায় অনুষ্ঠিত উক্ত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনষ্টিটিউট (ব্রি) এর মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর।
কীটতত্ত্ব বিভাগের চীফ সাইন্টিফিক অফিসার ড. শেখ শামিউল হকের সভাপতিত্বে এসময় সেখানে আরো বক্তব্য রাখেন, সিমিট বাংলাদেশের সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. সৈয়দ নুরুল আলম, প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. মোঃ নাজমুল বারী, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় সাতক্ষীরার প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. মোঃ মামনুর রহমান,
কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম, ব্রি গাজীপুরের সাইন্টিফিক অফিসার তপন কুমার রায়, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় সাতক্ষীরার সাইন্টিফিক অফিসার তাহমিনা আক্তার, সাইন্টিফিক অফিসার তমাল পাত্র শুভ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ধান আমাদের প্রধান খাদ্য শস্য। নিবিড় চাষাবাদের ফলে ধান ক্ষেতে পোকা, রোগবালাই এবং আগাছার প্রাদুর্ভাব ও আক্রমন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ কৃষক ধানের চারা রোপনের ৭ দিনের মধ্যে আগাছা নাশক, ১৫/২০ দিনের মধ্যে পোকা দমনের জন্য একবার দানাদার কীটনাশক,
পরবর্তীতে আরো ২/৩ বার রাসায়নিক কীটনাশক এবং রোগবালাই দমনের জন্য আরো ২ বার ছত্রাক নাশক ব্যবহার করে থাকেন। ফলে এক মৌসুমে ধান চাষে কৃষক ৬ থেকে ৭ বার বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পেস্টিসাইড ব্যবহার করে থাকেন। এসমস্ত রাসায়নিক পেস্টিসাইড মাটি, পানি, মানবস্বাস্থ্য এবং সর্বোপরি পরিবেশের উপর মারাত্বক ক্ষতির প্রভাব ফেলছে।
মাঠ দিবস থেকে এ সময় এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনষ্টিটিউিট (ব্রি) কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহায়তায় সারাদেশে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পেস্টিসাইড ব্যবহার না করেই ধান চাষের কৌশল সম্পর্কে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানান।
আপনার মতামত লিখুন :