সর্বশেষ :

সিঙ্গাপুরে  বৈশাখী উৎসব উদযাপন করল বিআইএমটি  অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন


শাহাদাত রাসেল চৌধুরী বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৮, ২০২৪ । ৩:২৫ অপরাহ্ণ
সিঙ্গাপুরে  বৈশাখী উৎসব উদযাপন করল বিআইএমটি  অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন
বৈশাখ উপলক্ষ্যে শনিবার (২৭ এপ্রিল)সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় সিঙ্গাপুরের ল্যাব্রাডর পার্কে বর্ষবরন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ মেরিন টেকনোলজি (BIMT) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
 জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ কালক্রমে বাঙালি সংস্কৃতির সর্বজনীন ও সর্ববৃহৎ উৎসবে পরিণত হয়। এতে সিঙ্গাপুরে  বসবাসরত চার শতাধিক বাংলাদেশি  পরিবার  স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
২০০৬ সালের গোড়ার দিকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ মেরিন টেকনোলজির প্রাক্তন  ছাত্রদের দ্বারা  তৈরিকৃত করা একটি  সংগঠন। যা সিঙ্গাপুরে বসবাসরত বাঙালী কমিউনিটির মধ্যকার সুসম্পর্ক স্থাপন এবং বাঙালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিদেশের মাটিতে সংরক্ষণ করার গুরু দায়িত্ব হাতে নেয়।
মারজাহান সুমীর  পরিচালনায়  জাতীয় সংগীত ‘’ পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বাংলাদেশী  শিশু শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনাসহ বিভিন্ন বয়সের শিশু কিশোরদের জাঁকজমকপূর্ণ নৃত্য পরিবেশনা উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
 আয়োজকরা মনে করেন বিদেশের মাটিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা মানে শুধু উৎসবে মেতে ওঠা নয়, বাঙালির বর্ষবরণ সংস্কৃতিকে পরবর্তী প্রজন্মকে জানিয়ে দেওয়াও এর উদ্দেশ্য।
বৈশাখের আয়োজনের  শুরুতেই ছিল বাঙালির প্রাণের খাবার বৈশাখের মূল আকর্ষণ পন্তাইলিশ  ছিল নানারকম দেশীয় ভর্তা বেগুন ভাজা,  পিঠা, বিকেলের নাস্তায় ছিলো সিঙ্গারা চমুছা,রোল,এবং মাসালা চা, এবং রাতের খাবারে ছিলো পলাও মাংশ খাশির রেজালা, সহ বিভিন্ন আয়োজন,
দিনব্যাপী জমকালো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল সিঙ্গাপুরের প্রবাসীদের নিয়ে গঠিত মাইগ্রেন্ট  ব্র্যান্ডের শিল্পীদের পরিবেশনা গান এবং  স্থানীয় শিল্পীদের সুরেলা কণ্ঠে গান এবং নিত্য পরিবেশনা।
দিনব্যাপী প্রাণের এই মিলন মেলায় চোখে পড়ার মতো বিষয়ছিলো আগত  সকল  পুরুষ এবং নারীরা একই কালারের বৈশাখী  শাড়ি এবং পান্জাবী পরে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত এবং নজর  কাড়া করে তুলেছে বিদেশিদের কাছে। বাঙালিদের  বিকাল  থেকে রাত  পর্যন্ত আনন্দের আবহে  বাঙালির চিরাচরিত আড্ডা আর লোকে লোকারণ্যে মুখরিত গানের সুরে, কবিতার ছন্দে, নাচের মুদ্রায় আর উপস্থাপনায় কোথাও যেন ঘটেনি ছন্দপতন।
সংগঠনের সভাপতি আসাদুজ্জামান   বলেন, প্রবাসে থাকলেও আমাদের মন পড়ে থাকে বাংলাদেশে, সেই আদলেই আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে। আমরা চাই আমাদের নতুন প্রজন্ম আমাদের সংস্কৃতিতে চর্চা করুক। বিশ্বের দরবারে আমাদের লাল সবুজের পতাকাকে তুলে ধরুক।
দূর প্রবাসে বাঙালি সংস্কৃতির এ উৎসব যেন এক মহামিলন। কর্মজীবনের পাশাপাশি সম্প্রীতির বন্ধনে এমনি করে বারবার মহামিলনে জেগে উঠুক নতুন প্রজন্ম– এমনটাই প্রত্যাশা সিঙ্গাপুরে  বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের।

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০