সর্বশেষ :

দোয়ারাবাজারে সেই ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ


হুমায়ুন ফরিদ,দোয়ারাবাজার:
প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৮, ২০২৪ । ১২:১২ অপরাহ্ণ
দোয়ারাবাজারে সেই ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

দোয়ারাবাজারে ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে,দোয়ারাবাজার উপজেলার ৭ নং লক্ষীপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন ইসলামপুর গ্রামের ২০২৩—২৪ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা—কাবিটা ও টিআর) ,

কর্মসূচির আওতায় ইসলামপুর গ্রামের রাস্তা পুনঃ নির্মাণ প্রকল্প” এর ব্যায় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৪ এর ভিতরে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। কাজ শেষ না করে নামমাত্র কাজ করিয়ে শেষ দেখানোয় উপজেলা নির্বাহী প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করেছেন ইসলামপুর গ্রামের মৃত মানিক উদ্দিনের পুত্র মো: শামছু মিয়া।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৭ নং লক্ষীপুর ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন গ্রামের সংযোগ রাস্তা ও বেড়িবাঁধ নির্মাণে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় না করে তা আত্মসাত করেন। নামে মাত্র মাটি কাটিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।

গ্রামের গণমান্য ব্যক্তি সাথে নিয়ে  মেম্বারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান,বরাদ্দ নেই বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। অথচ বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মাটি কাটিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছেন ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন।

দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আম্বিয়া আহমদ জানান, ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তাকে প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে করার জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে।

আমরা সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে কাজে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেনকে চিঠি দিয়েছি। দ্রুত কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। জুনের ভিতর কাজ শেষ না করলে তার বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

উল্লেখ অর্থবছর ২০২১- ২০২২ ইং প্রথম পর্যায়ের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ(টিআর) ১ লক্ষ ৪০ হাজার উন্নয়ন কাজ করার জন্য ইউপি সদস্য মনোয়া হোসেনকে সভাপতি করে পিআইসি গঠন করা হয়। কিন্তু প্রকল্পের কোনো কাজ না করেই প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দকৃত টাকা ও গম আত্মসাৎ করা হয়।

এ ব্যাপারে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের চকিরঘাট গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে নজরুল ইসলাম সাগর।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমদ শনিবার টাকা ফেরতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রকল্পের টাকা পৃথক ভাবে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক মনোয়ার হোসেন।

প্রকল্পের কাজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু সন্তুসজনক না হওয়ায় ইউপি সদস্যকে একটি লিখিত নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশে উল্লেখ করেন গত ১২.০৩.২৪ তারিখে ২০২৩—২৪ অর্থ বছরে,

গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা—কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় ইসলামপুর রাস্থা পুনঃ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ সন্তুষ্ট না হওয়ায় দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। অন্যতায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০