পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যান ট্রাভেল্স এর মালিক এ্যাডভোকেট ইকবাল মাহামুদ লিটনকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় তিনি আজ রোববার দশমিনা থানায় সাধারন ডায়রী করেছেন। সাধারন ডায়রীতে উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের রুস্তুম চৌকিদারের ছেলে মোহসেন (৩৫) আলম হাওলাদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৮) শাহজাহান সন্নামতের ছেলে খায়রুল ইসলামকে (২০) অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সাধারন ডায়রীতে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে অভিযুক্তদের সাথে তার রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল। এছাড়াও অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় তার ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি ধামকী দিয়ে আসছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় গত
২৫ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেনের সাথে দলের সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা করার জন্য জেলা সদরে যাওয়ার পথে বেতাগী বাজারে অভিযুক্তরা লাঠি নিয়ে ইকবাল মাহামুদ লিটনের দিকে তেড়ে আসে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে খুন জখমের হুমকি দেয়।
এসময় বেতাগী বাজারে উপস্থিত স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে গন্তব্য পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে সাধারন ডায়রীতে উল্লেখ করেছেন। এব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত মোহসেন চৌকিদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
ঘটনার দিন আমার মটর সাইকেল জ্যামে আটকে ছিল এবং ওই সময় আমার হাতে লাঠি থাকায় তিনি ভেবেছেন আমি তাকে আক্রমন করতে গিয়েছি। দশমিনা থানার ওমি মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, তিনি দশমিনা থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেছেন বিষয়টি আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত করে দেখা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :