সর্বশেষ :

এল নিনো’র প্রভাবে সারা দেশ জ্বলছে,  আঁচ হচ্ছে তীব্র গরম হিট স্টোকে মরছে মানুষ 


টাঙ্গাইল ,প্রতিনিধি:
প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৮, ২০২৪ । ৫:০৩ অপরাহ্ণ
এল নিনো’র প্রভাবে সারা দেশ জ্বলছে,  আঁচ হচ্ছে তীব্র গরম হিট স্টোকে মরছে মানুষ 
জীবন জীবিকার তাগিদে মানুষ সকল বিধি নিষেধকে উপেক্ষা করে বেরিয়ে পড়েছে অন্যের সন্ধানে। আগে বাঁচতে হবে। নিয়ম-নীতির বিষয়টি পরে দেখব। স্মার্ট বাংলাদেশে চলছে তীব্র গরম।
তাপপ্রবাহে মানব জীবন চলছে না এমন অবস্থা। কিন্তু তীব্র গরম, তাপদাহ এসব কার জন্য। এসবই গরিবের জন্য। যাদের বাসায় এসি চলে তাপ প্রবাহ কে শীতলতায় আনয়নে যা যা প্রয়োজন তাই তারা করে থাকেন।
তাদের জন্য গরম বা তাপ এসব অনুভূত হয় না। দিনের বেলায় রাস্তায় বেরুলে শরীরে অসহনীয় তাপের অনুভব হয়। যা কখনো কখনো অস্বস্তিকর মনে হয়। এমন অবস্থায় উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয় বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের।
প্রায় ১০০ বছর আগে বিজ্ঞানী স্যাভান্তে আরমেনিয়াস ( ১৮৫৯-১৯২৭) মানব জাতিকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন,এবং বলেছিলেন ধীরে ধীরে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে দ্রুত। এই গ্যাসটি বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বাড়িয়ে দিয়ে ভবিষ্যতে পৃথিবীর বড় বিপদ ডেকে আনছে।
২০২৩ সালে আবহাওয়াবিদরা বারবার বলেছিলেন পৃথিবী অতি অল্প সময়ের মধ্যে ‘এল নিনো’ দেখতে পাবে।যার প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে বেড়ে যাবে তাপ। একই সময় বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন ২০২৪ সালটি হবে বিশ্বের উষ্ণতার সর্বোচ্চ রেকর্ড। ২০২৪ সালে বিশ্ব দেখতে পাবে ‘এল নিনো’।
এল নিনো কী? বিজ্ঞানীদের মতে, এল নিনো হলো আলাদা একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। পৃথিবীর ইতিহাসে কয়েক বছর পর পর বিশ্বব্যাপী এল নিনোর দেখা পাওয়া যায়। এই এল নিনো’র প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। আসলে, এল নিনো হলো প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণ সমুদ্র স্রোত।
এল নিনো’র প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ পর্যন্ত দেখা দিয়েছে বৃষ্টির অভাব। যার কারণে বেড়ে গেছে তাপমাত্রা শুকিয়ে যাচ্ছে মাটি এমনকি কোন কোন অঞ্চলে প্রচন্ড খরাও সৃষ্টি হয়েছে।
যুগে যুগে পৃথিবীতে হানা দিয়েছে নামে বেনামে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে গিয়ে মানুষ নানা প্রকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। মানবসৃষ্ট পদক্ষেপ কখনো কাজে লেগেছে আবার কখনো বিফল হয়েছে। মানব জাতিকে ধ্বংস করার কোন পদক্ষেপই সৃষ্টিকর্তা গ্রহণ করেন না।
যখনই যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ পৃথিবীতে এসেছে তার সবই মানব সৃষ্ট। কোরআন সুন্নাহর বিধান মতে সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্ত থাকার একমাত্র পথ মহান আল্লাহর বিধান মেনে চলা। রব যা আদেশ করেছেন তা প্রতিপালন আর যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকা।

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০