সর্বশেষ :

আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল


নুরুল আফছার,স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৮, ২০২৪ । ৬:৫৮ অপরাহ্ণ
আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল

২৯ এপ্রিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ভয়ঙ্কর দিন। ১৯৯১ সালের এই দিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল একেবারে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল। প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ এতে নিহত হয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন প্রায় ১ কোটি মানুষ।

স্বাধীনতা উত্তরকালে এতো বড় ঝড়-জলোচ্ছ্বাস আর ক্ষয়ক্ষতি বাংলাদেশের মানুষ দেখেনি। উপকূলবাসীকে এখনো সেই ঝড়-জলোচ্ছ্বাস দুঃস্বপ্নের মতো ‍তাড়িয়ে বেড়ায়।স্মৃতিচারণ করতে গেলে এখনো রাতে ঘুমতো পারেন না অনেকে। এই গল্প করতে গেলে গায়ের সব লোম দাঁড়িয়ে যায়।

ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হেনেছিল। জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল ৬ মিটার উচ্চতার। ফলে বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। এতে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল সন্দ্বীপ, মহেশখালী ও হাতিয়া দ্বীপে। শুধু সন্দ্বীপেই ২৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।

ইতিহাসের ভয়াবহ এই ঝড়ে কর্ণফুলী নদীর তীরে কংক্রিটের বাঁধ ধ্বংস হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের ১’শ টন ওজনের ক্রেন ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। বন্দর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ছোট, বড় জাহাজ।

প্রায় ১০ লাখ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থলভাগে আঘাত হানার পর ঝড়ের গতিবেগ ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ৩০ এপ্রিল এটি শান্ত হয়ে আসে। এই ঝড়ে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।এদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানলেও ওসব এলাকার জননিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে।

তাদের সুরক্ষার জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপই নেয়া হচ্ছে না। দূর্যোগের ৩৩বছর পরেও নেই দূর্য়োগ মোকাবেলার প্রস্তুতি। ভয়াল সেই দুঃসহ স্মৃতির ৩৩ বছর পেরিয়েও এসব ভাগ্যহত মানুষ কান্নায় বুক ভারী করেন আর একটি স্থায়ী বসতভিটার আশায় দিন গোনেন। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ভয়াল সেই ঘূর্ণিঝড়ের স্বজন হারা মানুষদের জন্য ভোরের চেতনা পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা।

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০