মসজিদ কমিটি থেকে বাদ দেয়ার দ্বন্দ্ব, মুরাদনগরে মুসল্লিকে কুপিয়ে জখম

মসজিদ কমিটি থেকে বাদ দেয়ার দ্বন্দ্ব, মুরাদনগরে মুসল্লিকে কুপিয়ে জখম
শাহ সাহিদ উদ্দিন ,কুমিল্লা:
প্রকাশের সময় :
কুমিল্লার মুরাদনগরে মসজিদ কমিটি থেকে বাদ দেয়ায় এক মুসল্লিকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নাড়ী ভুড়ি বের করে মারাত্মক জখম করার গুরতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার কুমিল্লার মুরাদনগর এলকার সদরের ‘ছোট মসজিদে’ জুমার নামাজ শেষে এই নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়। সেখানে উপস্থিত প্রত্যদর্শীরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে মসজিদের ইমামের সাথে দুর্ব্যবহার করেন  স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক সাংসদ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের অনুসারী সাবেক মেম্বার আক্তার হোসেন।
এ নিয়ে সবার সম্মতিক্রমে ওই প্রভাশালী নেতা আক্তার হোসেন মেম্বারকে মসজিদ কমিটির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ আক্তার মেম্বারের নির্দেশে পূর্বের মতো তার ছেলে রাফি এ নৃশংস ঘটনা ঘটান।
রাফির গ্রুপ ও রাফি নিজে জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে একই এলাকার সফিকুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিন নামের এক সাধারণ মুসল্লিকে ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপায়, এতে ওই মুসল্লীর পেট থেকে নাড়ী ভুড়ি বের হয়ে যায়।
পরে উপস্থিত স্থানীয়রা মরাত্মক আহত রুহুল আমিনকে রাফিদের হাত থেকে উদ্ধার করে প্রথমে মুরাদনগর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা রুহুল আমিনের অবস্থা আশাঙ্কাজনক মনে করে তাকে সেখান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি বিএনপি নেতা আক্তার মেম্বার সরকারদলীয় এক সিনিয়র মন্ত্রীর সাথে কিছুদিন আগে ছবি তুলে আধিপত্য বিস্তারে তা নিজের ফেসবুক পেইজে প্রচার করে। পাশাপাশি নিজেকে প্রভাবশালী হিসেবে তুলে ধরে পূর্বের মতো অনেকের সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে।
এরই এক পর্যায়ে মুসল্লিকে কুপিয়ে জখম করা হলো। নিরীহ রুহুল আমিনকে জখম করার ঘটনায় মুরাদনগরের সর্বস্তরের মানুষ ও মুসল্লিররা ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সরেজমিনে সাবেক মেম্বার আক্তার হোসেনের বাড়িতে গেলেও কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। রিপ্লাই দেন ফোন কল ও মেসেজের উত্তর। মুরাদনগর থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে, সত্য উদঘাটনে আমরা কাজ করছি।