জয়পুরহাটে পরীক্ষামূলক প্রথম বারের মত চিনা বাদামের চাষ

জয়পুরহাটে পরীক্ষামূলক প্রথম বারের মত চিনা বাদামের চাষ
মোঃ জাহিদুল ইসলাম,জয়পুরহাট:
প্রকাশের সময় :
উচ্চমূল্যের ফসল চিনাবাদাম চাষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে জেলার ক্ষেতলাল  উপজেলার আলামপুর ও বড়াইল  ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রাম এলাকায় প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে চিনাবাদামের চাষ করা হয়।
চিনাবাদাম অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হলেও বাণিজ্যিকভাবে জয়পুরহাট জেলায় চাষা বাদ করা হয় না। আর এটির দাম সর্বোচ্চ এবং চাহিদাও বেশি।
চিনা বাদাম দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি পাতাও বেশ সুদর্শন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাষ হয় চিনা বাদাম। এবার এ  উপজেলার বড়াইল  আলামপুর ইউনিয়নে এই প্রথম চিনা বাদাম চাষ হয়েছে৷
বাদাম চাষি আগ্রহী কৃষকরা হলেন আঃ রশিদ মোঃ হয়দার আলী মোঃ  হারেজ মোঃ মামদুল মোঃ ময়নুল সিদ্দীক মোঃ আবু  হাসন মোঃ বাহার তারা প্রায় ৫ বিঘা জমিতে এ বছর চিনাবাদাম চাষ করেছে৷
উপজেলার বড়াইল ও আলমপুর ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামের কৃষক আঃ রশিদ (৬৫) আগামী বছর জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে মাত্র ছয় শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন চিনা বাদাম। এতে ভালো ফলনও পেয়েছেন তিনি। বাদাম বেলে মাটির ফসল হলেও দোয়াশ মাটিতে চাষ হওয়ায় অন্যন্য কৃষকরাও বাদাম চাষের কথা ভাবছেন। এবছর এর উপজেলায়  প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন কৃষক৷
বৃহস্পতিবার (২৫এপ্রিল) বিকালে কৃষক  আব্দুর রশিদের  সাথে কথা বললে তিনি জানান, নতুন নতুন ফসল চাষ করা আমার সখ। আমি গত জানুয়ারি মাসে একজনের পরামর্শ নিয়ে এবার  মাত্র ১৬ শতাংশ জমিতে চিনা বাদাম চাষ করেছি।
বাদাম চাষে তেমন খরচ নাই। এ বছর বাদামে তেমন কোন রোগ বালাইও হয়নি। ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বাজারে বাদামের দামও ভালো। গতবাছর  পরীক্ষামূলক চাষ করলেও এরপর বড় পরিসরে চাষ করেছি। সরকার  যদি আমাদের সহযোগিতা করে বা প্রণোদনা দেয় তাহলে আমরা বাদাম চাষে আগ্রহী হব৷
ঐ গ্রামের হয়দার আলী (৪৫) নামের আরও এক কৃষক জানান, আমরা জানি বাদাম চরাঞ্চলের ফসল। আঃ রশিদকে বাদাম চাষ করতে দেখে আমরা অবাক হয়েছিলাম। পরে দেখলাম, বাদামের গাছ খুব সুন্দর হয়েছে। ভালো বাদামও তুলতে পেরেছেন তিনি। তার দেখাতে আমরাও কমবেশি এখন  বাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছি৷
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল  উপজেলা কৃষি কমকর্তা জাহিদুর রহমান  জানান, বাদাম সাধারনত বেলে মাটিতে ভালো হয়। তবে নদী এলাকা বা যেসব এলাকার মাটিতে বালির পরিমান বেশি সেসব এলাকাতেও চাষ করা যায়।
ক্ষেতলালে এর আগে কেউ বাদাম চাষ করেছে বলে আমার জানা নাই। তবে কৃষক আঃ রশিদের  মতো অন্যন্য যারা বাদাম চাষে আগ্রহী তাঁদের কৃষি অফিস থেকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে সেই সাথে তাঁদের উৎসাহিত করতে প্রণোদনার ব্যবস্থাও করা হবে।