কেশবপুরে কৃষকদের জন্য ঠান্ডা পানি-স্যালাইন-চিড়াগুড় নিয়ে ফসলের মাঠে চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ

কেশবপুরে কৃষকদের জন্য ঠান্ডা পানি-স্যালাইন-চিড়াগুড় নিয়ে ফসলের মাঠে চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ
মোঃ মাসুদ রায়হান, কেশবপুরঃ
প্রকাশের সময় :
তীব্র গরমে কৃষকদের কষ্টের কথা  তুলে ধরার পর নড়ে চড়ে বসেছে বিভিন্ন নেতাকর্মী তারই ধারাবাহিকতায়  যশোর কেশবপুর হাসানপুর ইউনিয়ন,
তীব্র গরমে মাঠে কাজ করা কৃষকদের হাতে পানি, স্যালাইন ও চিড়াগুড় পৌঁছে দিয়েছে ১১নং হাসানপুর ইউনিয়ন  চেয়ারম্যান  তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ। তপ্তদুপুরে অনাকাঙ্ক্ষিত এমন উপহার পেয়ে খুশি কৃষকরা
গত বৃহস্পতিবার  (২৫ এপ্রিল) সকালে  হাসানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন  ফসলের মাঠে গিয়ে পানি, স্যালাইন ও চিড়া গুড় বিতরণ করেন চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বৈশাখের খরতাপে কয়েক দিন ধরেই হাঁসফাঁস করছে মানুষ। দাবদাহে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এই তীব্র গরমে কৃষক ও শ্রমিকদের কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে।
এদিকে কাজ না করলে খাবারও জুটবে না। তাই পেটের দায়ে গরম উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন তারা।  প্রচণ্ড রোদে জমিতে ধান কাটছিলেন কৃষকরা।
এ সময় তাদের মুখে হাসি ফোটাতে জুস, পানি ও স্যালাইন ও চিড়া গুড় হাতে সেখানে হাজির হন  চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ। তপ্তদুপুরে অনাকাঙ্ক্ষিত এমন উপহার পেয়ে খুশি কৃষকরা
ধান কাটতে আসা কৃষক মফিজুর বলেন সকাল থেকে প্রচুর গরম। পেটের দায়ে ধান কাটতে আসছি। একদিকে ধানের গরম অন্যদিকে সূর্যের গরম। আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছিল। হঠাৎ করে চেয়ারম্যান এসে আমাদের ঠান্ডাপানি, চিড়া গুড় ও স্যালাইন দিল। সাথে সাথেই খেলাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগলো।
শহিদ নামে আরেক কৃষক প্রতিনিধিকে  বলেন, কাজ না করলে খামু কী? তাই ধান কাটতাসি। তবে ১১নং চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান  যে এমন উপহার দেবে তা স্বপ্নেও ভাবি নাই। গরমে স্যালাইন, পানি,চিড়াগুড় খেয়ে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ চেয়ারম্যানকে।
১১নং চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ বলেন অন্যান্য পরিশ্রমের মধ্যে ধান কাটা কঠিন পরিশ্রম। ভরদুপুরে তাপমাত্রা যখন প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তখন ফসলের মাঠে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব এক ব্যাপার। অথচ সেই তাপে কৃষক ধান কাটছেন। আমি তাদের হালকা কিছু খাওয়াতে পারে আমি আনন্দিত।