বগুড়ায় তীব্র তাপদাহের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ

বগুড়ায় তীব্র তাপদাহের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ
জাহিদ হাসান, বগুড়া: 
প্রকাশের সময় :
তীব্র তাপদাহের  কারণে সারা দেশের মত বগুড়াতেও জনজীবন অতিষ্ট । পবিত্র রমজান মাসের শেষ নাগাদ এ তাপদাহ বৃদ্ধি হয়, কিন্তু এখন পর্যন্ত তাপ নিম্নগতির  কোনো লক্ষণই চোখে পড়ছে না। এদিকে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষরা পেটেদায়ে রাস্তায় বের হচ্ছে, অনেক সময় শহরের বিভিন্ন জায়গায় এসব খেটে খাওয়া মানুষের অতিরিক্ত গরমের কারণে হিট স্টক এর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে,
বিশেষ করে বৃদ্ধদের মধ্যে লক্ষণটি বেশি চোখে পরছে। গত ১৯ এপ্রিল থেকে আবহাওয়া অফিস ৭২ ঘণ্টার হিট এলার্ট জারি করেছেন। পরবর্তীতে এটি আরো দিন বৃদ্ধি করেন।  তবুও রৌদের তীব্রতা কমে নাই। শহর এবং শহরের বাইপাস ও মহাসড়কের  বিভিন্ন  স্হানপ রাস্তায় পিচগুলো অতিরিক্ত তাপে গলে যাওয়া দৃশ্য।
এদিকে তাপপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন বগুড়ার বিভিন্ন হাসপাতালে। বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায়  অনেক সংস্থা থেকে শীতল পানি,কিংবা  শরবত, ফ্রি তে খাওয়াচ্ছেন।
পাশাপাশি বগুড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ পানি ও শীতল পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সারা বাংলাদেশের মত বগুড়া থেকে বৃষ্টির জন্য ২০ শে এপ্রিল  তসলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়,,গোকুলে  তীব্র গরমে জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আর এই গরমে বগুড়াতে বৃদ্ধি পেয়েছে ফ্যান এবং শীতল পানি শরবত বিক্রি। পাশা পাশি বেরেছে ডাব ও তরমুজের বিক্রি।
বগুড়াতে ফ্যান বিক্রয় হচ্ছে সর্বনিম্ন ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে নরমাল ফ্যানের পাশাপাশি বেড়েছে চার্জার ফ্যানের বিক্রি । এছাড়াও৷ বেরেছে  আই পি এস ও আই পি এস এর ব্যাটারি  বিক্রি।
 কিছু দোকানি জানান, গতবারের তুলনায় এবারের ফ্যান বিক্রিয় কয়েক দিনের বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে প্রতিটি ফ্যানে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। সরজমিনে খুচরা মার্কেটে ঘুরে  দৈনিক ফ্যান বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার  এবং পাইকারি দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা পযন্ত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তি ফ্যান  ক্রয় করে  জানান, বিগত কয়েক বছরের যে গরম দেখা যায়নি বর্তমানে সে গরমটি দেখা গিয়েছে, তবে শহরে গরমের তাপমাত্রা একটু বেশি, অতিরিক্ত লোডশেডিং ও তাপ দাহের কারণে ফ্যান ক্রয় করতে এসেছি বগুড়ায়। একটি কভার ছাড়া ফ্যান কিনেছি ৪৪০ টাকায় তবে গত বছরে এ ফ্যান ছিল ৩৩০ টাকা।
শরবত বিক্রেতা মোঃ সুমন শেখ জানায়,বেশ কয়েকদিন ধরে গ্রাহক সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি বপরেছে অতিরিক্ত শরবতের চাহিদা। ১২   আইটেম মিশ্রিত শরবত বিক্রি করছেন প্রতি গ্লাস ১০ টাকা। শরবত বিক্রেতা  আর জানানা,দিনে দেড় থেকে দুই হাজার টাকার শরবত বিক্রি করেন তিনি।
এদিকে বগুড়া আবহাওয়া  অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়,  ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি তারিখ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বগুড়া সদর উপজেলা, রাজশাহী বিভাগে বগুড়া জেলার  রৌদ্রজ্জ্বল সর্বোচ্চ  দিন ৩৯° •ও সর্বনিম্ন ছিলো রাতে ২৪° ডিগ্রি সেলসিয়াস।