সর্বশেষ :

সাফল্যের সাথে সুনাম ধরে রেখেছে কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “বাইতুল উলূম মহিলা মাদরাসা


সাইফ উদ্দীন আল-আজাদ,কুষ্টিয়া :
প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৩, ২০২৪ । ৪:৫৭ অপরাহ্ণ
সাফল্যের সাথে সুনাম ধরে রেখেছে কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “বাইতুল উলূম মহিলা মাদরাসা
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাইতুল উলূম মহিলা মাদরাসা।২০০৬সাল থেকে দীর্ঘ ১৯বছরের পথচলা বাইতুল উলূম মহিলা মাদরাসার।
ঘাত প্রতিঘাত পেড়িয়ে সফলতার ১৯বছরে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তিল তিল করে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন মাওলানা ইলিয়াস শাহ্।কওমী মাদরাসা গুলোর অন্যতম শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত বাইতুল উলূম মহিলা মাদরাসা।
এখানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দক্ষ শিক্ষক/ শিক্ষিকা দ্বারা ক্লাস নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পুরো মাদরাসাটি সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রিত রাখা হয়েছে।বিভাগ রয়েছে, নূরানী,মক্তব, নাজেরা,
হিফজ বিভাগ ও জামাত বিভাগের সর্বোচ্চ মাস্টার্স ডিগ্রী দাওয়ায়ে হাদীস পর্যন্ত।এছাড়াও মাদরাসা শিক্ষার পাশাপাশি জেনেরাল শিক্ষার সু-ব্যবস্থাও রয়েছে,সেই লক্ষ্যে ক্লাস ওয়ান থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত রয়েছে।
এমুহূর্তে প্রায় দেড়শো শিক্ষার্থী রয়েছে বাইতুল উলূম মহিলা মাদরাসায়। ঈর্ষনীয় সাফল্য দেখে বেশকিছু দিন যাবৎ বায়তুল উলূম মাদরাসার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে একটি মহল,এতে বিভ্রান্ত হচ্ছে অত্র মাদরাসার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ।
পড়ালেখার মান এত ভালো হওয়া শর্তেও নানান গুজব ও সমালোচনাতে দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। এতিম দুস্থ অসহায় শিক্ষার্থীদের মাথার ছায়া হয়ে দ্বীনি শিক্ষায় গড়ে তোলার লক্ষ্যে সর্বদা প্রস্তুত এই “বাইতুল উলূম মহিলা মাদরাসা”।
প্রতিবছর বেফাকের রেজাল্টে মুমতাজ ও জায়্যিদ জিদ্দান অর্থাৎ এ-প্লাস শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে।বাইতুল উলূম মহিলা মাদরাসা থেকে হাফেজা আলেমা হয়ে প্রতিবছর ফারেগ হচ্ছেন বিশ থেকে ত্রিশজন।অত্র মহিলা মাদরাসার অসাধারণ সাফল্যের কারণ খুঁজতে গেলে মিলে যায় এখানের পড়ালেখার মানভালো।
একারণেই প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বেফাকের সিরিয়ালে রয়েছে এই “বাইতুল উলূম মহিলা মাদরাসা”। অত্র মাদরাসার শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল খালেক বলেন,
আমি দীর্ঘদিন ধরে এই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করি, দ্বীনের খেদমতের নিয়্যাতে আমরা শিক্ষার্থীদেরকে পর্দার সহিত দরস প্রদান করে থাকি।প্রতিবছর দাওরায়ে হাদীস সম্পূর্ণ করে আলেমা তৈরি হয়ে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় এ মাদরাসার শিক্ষার্থীরা খেদমতে রয়েছেন।
এদিকে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার গল্প শোনাতে গিয়ে প্রিন্সিপাল মাওলানা ইলিয়াস শাহ্ বললেন,আমি আমার বড়দের থেকে পরামর্শ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ২০০৬সালে প্রতিষ্ঠা করি স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান “বাইতুল উলূম মহিলা মাদরাসা”।
প্রতিষ্ঠানটির উন্নতি ও অগ্রগতি দেখে একটি মহল মাদরাসার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে।অথচ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আমাকে নানান ঘাত প্রতিঘাত পেড়িয়ে সফলতা দান করেছেন।
আমাদের মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। মাদরাসাটি বর্তমানে অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। মাদরাসার বিশেষ বৈশিষ্ট হলো,৪তলা বিশিষ্ট ভবনজুড়ে মাদরাসা,সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রিত।
এখানের সকল শিক্ষিকাগণই শিক্ষাবোর্ডে স্টার্ণধারী। মাদরাসায় মোট ৭জন মহিলা শিক্ষিকা রয়েছেন। আর শায়খুল হাদীস হিসেবে মাওলানা আব্দুল খালেক সহ মোট ৬ জন পুরুষ শিক্ষক রয়েছেন।এছাড়াও এখানের পড়াশুনার মান খুবই ভালো। কোন শিক্ষিকাদেরই ক্লাস মিস করার সুযোগ নেই।
সারাক্ষণ ছাত্রীদের সাথে শিক্ষিকাদেরও নেগরানীতে রাখা হয় বলে জানান মাদরাসার মুহতামিম ইলিয়াস শাহ্। মাওলানা ইলিয়াস শাহ্ আরও বলেন যে,আমি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পিতা মাতাকে আহবান জানাবো,
আপনারা আমাদের মাদরাসায় আসুন এবং পরিবেশ ও পড়ার মান দেখুন,সেইসাথে আপনাদের সন্তানদের মাদরাসায় ভর্তি করুন,আমরা কথা দিচ্ছি! সন্তান আপনাদের কিন্তু দ্বীনদার হিসেবে সুশিক্ষায় শিক্ষিতা এবং আমলদারী হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের, ইনশাআল্লাহ!

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০