বড়লেখায় প্রেমিকাকে (২১) চা বাগানে ঘুরতে নিয়ে বন্ধুরা মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ঘটনায়,৩ মাস পরে মূল আসামি নুরুল ইসলামকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের পূর্ব দৌলতপুর গ্রামের, আবুল হোসেনের ছেলে, নুরুল ইসলাম, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার রাতে
বুধবারি বাজার ইউনিয়নের, খালি জরির গাংপার গ্রাম থেকে,মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে গ্রেফতার করে (২০ এপ্রিল শনিবার ) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
সরেজমিনে এলাকায় গেলে জানা যায়, কান্দিগ্রামের খসরুল ইসলামের মেয়ে সেলি বেগমের সাথে পাঁচ মাস ধরে, পূর্ব দৌলতপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে, নুরুল ইসলাম ওরফে ফাহিম (২৫) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, (১২ ফেব্রুয়ারি) নুরুল ইসলাম সেলি বেগমকে, বেড়ানোর কথা বলে,
বাড়ি থেকে বের করে ইটাউরি কান্দিগ্রামের গেইটের সামনে যাওয়ার কথা বলে, সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন, নুরুল ইসলামও সিএনজি অটো রিক্সা চালক, হাসান আহমদ, সেলি বেগম যাওয়ার পরে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়,
রাস্তা থেকে, নাফিতখাই গ্ৰামের বলাই মিয়া ছেলে সানোয়ার আহমদ (২২), তাকেও নুরুল ইসলাম গাড়িতে তুলেন, তখন সেলি বেগম কিছুটা বুঝতে পারে তার সাথে খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে, তখন নুরুল ইসলামের পায়ে হাতে ধরে,সেলি বেগম বলেন, আমাকে নামিয়ে দেন,
কোন কথা না মেনে, অহিদাবাদ চা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধুরা মিলে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। রাত ১১ টার দিকে তাকে শাহবাজপুর বাজারে সেন্টারের সামনে নামিয়ে দিয়ে যায়, এরপর সেলি বেগম , বলেন। এ ঘটনায় গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওই তরণীর মা বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন।
১। পূর্ব দৌলতপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে, নুরুল ইসলাম ওরফে ফাহিম (২৫) ২। আল আমিন (২৩) পিতা-কুদরত আলী, উভয় সাং- পূর্ব দৌলতপুর ৩। মাহমুদুল হাসান (২০) পিতা-ডালিম উদ্দিন, সাং-সায়পুর ৪। রমিজ উদ্দিন (২৮) পিতা-মৃত ফইয়াজ আলী, সাং-পূর্ব দৌলতপুর ৫। সানোয়ার আহমদ (২২) পিতা-আব্দুল মতিন,সাং-নাফিতখাই,
অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বলে জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর নব গোপাল দাশ।
আপনার মতামত লিখুন :