হাসপাতালে নারীকে পিটিয়ে হত্যা; সিসি ফুটেজ গায়েব

হাসপাতালে নারীকে পিটিয়ে হত্যা; সিসি ফুটেজ গায়েব
দুলাল আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশের সময় :

কুমিল্লা জেলার, দেবিদ্বার উপজেলা সদরে মামণি হাসপাতালে, শাহনাজ প্রকাশ মীম নামে এক নারী কর্মচারিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায় হাসপাতালের ম্যানেজার বাবুল মিয়ার কাছে মৃত্যু শাহনাজ, মামার বাড়ি থেকে পাওয়া ও জমানো সঞ্চয় বাবৎ চার লক্ষ টাকা আমানত রাখেন এবং মালিক তাজুল ইসলাম বিগত দুই বছর যাবত বেতন ভাতা বকেয়া পরিশোধ করছেন না, আমানত এবং বকেয়া বেতন নিয়ে মালিক ম্যানেজার ও শাহনাজের বাকবিতন্ডা দীর্ঘদিন যাবত চলে আসছে, এরই মাঝে গাত ১৩/ ৪/২০২৪ ইং রোজ শুক্রবার রাতে, হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায়, শাহনাজকে কেবা কারা পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে হত্যা করে।

মালিক তাজুল ইসলাম জানান, মৃত্যু শাহনাজ হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আয়া হিসেবে কর্মরত আছেন, তিনি গত দুই বছর বকেয়া বেতন ও ম্যানেজার কতৃক আমানতের চার লক্ষ টাকা পাওনার বিষয়টি অবগত আছি, আমি হাসপাতাল ভবনের চারতলায় আমার বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম অন্যান্য স্টাফরা আমাকে পরিছন্নকর্মী শাহনাজকে গুরুতর আহতের বিষয়টি জানালে আমি তাৎক্ষণিকভাবে প্রথমে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর পর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান মৃত্যু শাহনাজ মীম একজন সহজ সাধারণ মেয়ে ছিলো, তাকে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না, সেখানে হাসপাতালের কতৃপক্ষের গাফিলতি কিংবা জড়িত কিনা তা খতিয়ে মূল অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন। এবং সিসি ক্যামেরা হত্যার আগের দিনেও সচল ছিলো, হত্যাকান্ডের পর সিসি ক্যমেরা গুলো খুলে ফেলার কারণটি ও রহস্যজনক।

এবিষয়ে দেবিদ্বার থানা অফিসার ইনর্চাজ জানান মৃত্যু শাহনাজ প্রকাশ মীমের চাচাতো ভাই মোঃ মহসিন একটি অজ্ঞাত হত্যার অভিযোগ করেছেন, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের মালিক তাজুল ইসলাম সহ কর্মরত নার্স, আয়া দারোয়ান কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।