ডায়াবেটিস রোগীরা কি তরমুজ খেতে পারেন? কী বলছেন চিকিৎসকরা

ডায়াবেটিস রোগীরা কি তরমুজ খেতে পারেন? কী বলছেন চিকিৎসকরা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় :

রমজানের রোজা শেষের পথে। এই সময় ইফতারিতে একটি দরকারি ফল তরমুজ। সারাদিন শরীর থাকে পানিশূন্য। ইফতারিতে এক ফালি তরমুজ সেই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করে।

বাজারে এখনো তরমুজের রমরমা। রোজার প্রথম দিকে দাম আকাশছোঁয়া থাকলেও এখন হাতের নাগালে। তাই ইফতারিতে তরমুজের দেখা মিলছে হামেশাই।

গরমে সবচেয়ে হাইড্রেটিং ফলগুলোর মধ্যে সেরা এই তরমুজ। এর মধ্যে ৯২ শতাংশই থাকে জলীয় উপাদান। সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারিতে ফ্রিজ থেকে বের করা ঠান্ডা এবং রসালো তরমুজে কামড় দিলে আহ! তাজা বাতাস ঢোকার মতো অনুভূতি পাওয়া যায়। পাশাপাশি মনও শান্ত হয়ে যায়।

তবে এখন সব পরিবারেই কম-বেশি ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছে। বাড়ির সবাই মজা করে তরমুজ খাবেন, তারা কি খাবেন না? রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। তরমুজের স্বাদও তো মিষ্টি। তাহলে তরমুজ খেতে পারবেন না ডায়াবেটিস রোগীরা? কী বলছেন চিকিৎসকরা?

তার আগে জেনে আসি তরমুজের উপকারিতা

তরমুজে রয়েছে পটাসিয়াম, ভিটামিন এ, বি ও সি। এছাড়া রয়েছে লাইকোপেন ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গবেষণায় দেখা গেছে,

এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্ট্রোকের মতো ঝুঁকি কমাতে ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তরমুজে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম। এর মধ্যে যে লাইকোপেন থাকে তা কয়েক ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে খুব ভালো কাজ করে।

তরমুজে কতটা চিনি থাকে?

প্রায় ২৮৬ গ্রামের একটা মাঝারি তরমুজে চিনি থাকে প্রায় ১৭.৭ গ্রাম। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, এক কাপ তরমুজ থেকে একজন ব্যক্তি প্রায় ৯.৫ গ্রাম চিনি গ্রহণ করেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

তরমুজ এবং ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পর্ক

বিশেষজ্ঞদের মতে, তরমুজে পানি এবং ফাইবার থাকে ভরপুর। তবে এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআই অনেকটাই বেশি। একটি ১০০ গ্রাম তরমুজে জিআই ৭২। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস রোগীরা তরমুজ খেতে পারবেন, তবে একসময়ে অনেকটা নয় অল্প।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গরমে তরমুজ খেতে চাইলে অন্যান্য শর্করা ফলের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া উচিত। তবে দুপুর বা রাতের খাবারের পরপরই তরমুজ না খেয়ে অন্য সময়ে খান। অর্থাৎ সোজা কথায় বলতে গেলে শর্করা গ্রহণের সময়টা সারা দিনে ভাগ করে নিন। একই সঙ্গে অনেকটা পরিমাণে খাবেন না।

টাইপ-২ ডায়াবেটিস থাকলে যেভাবে খাবেন তরমুজ

বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য ফলের মতো তরমুজ খাওয়া ভালো তবে পরিমাণে কম খাওয়া উচিত। সুগার রোগী এই ফল স্যালাড হিসাবে খেতে পারেন।

তরমুজ খাওয়ার সময় উচ্চ জিআই যুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো বলে মনে করা হয়। বরং তরমুজের সঙ্গে বাদাম, বীজ এবং অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খান।

 

সুত্রঃ ঢা/টা