নারী তুমি ….
মেঘলা আকাশের বুক চিঁড়ে উঠা, নব প্রভাতের আলো
গহীন কালো আধার ভেঙে-
পাখির গুঞ্জনে, সোনালী ঊষার প্রদীপ জ্বালো।
নারী তুমি…….
নদী মাতৃক বাংলার পদ্মা, মেঘনা, যমুনার মোহনা
তোমাতেই হয়, নব সৃষ্টির সূচনা,
কালের গর্ভে থেমে থাকা জীবনে, কর তুমি নব সুরের রচনা।
নারী তুমি …..
শীতের সকালে, কুয়াশার বুকে ঝলমলে মিষ্টি রোদের খেলা
ফাল্গুনে প্রকৃতির বুকে –
কোকিলের কণ্ঠে বয়ে আন বসন্তের বারতা ।
তুমি, বর্ষায় খালে-বিলে সদ্য ফোটা,
লাল–সাদা শাপলার মেলা।
নারী তুমি….
নজরুলের অগ্নিবীণা, রবি ঠাকুরের মানসী,
জীবনানন্দের বনলতা সেন,
মধুসূদনের মেঘনাদবধ অমর কাব্য।
তুমি নারী !
নারীত্ব তোমার অহংকার,
শত কষ্ট সয়ে, নবজাতক’কে দেখাও আলো,
প্রভেদ করনা কখনও লিঙ্গের ।
তুমি, ঘুমন্ত শিশুর নিশ্চিত কোল,
হৃদয় ভরা মমতা আর ভালবাসায় সিক্ত মাদার তেরেসা।
নারী তুমি …...
ভক্ত রামকৃষ্ণের– “মা ভবতারিণী” রূপে হও আবির্ভূত
বামাক্ষ্যাপার- “মা তারা” রূপে তারাপিঠে হও পূজিত ।
তুমি, মুকুন্দরামের দেবী “চণ্ডীর” মহিমা
তুমি, মঙ্গল ঘটের “লক্ষী” প্রতিমা।
তুমিই, জননী– তুমিই উৎস মনুষ্য কুলের
তুমি বসুধা ! তুমি-ই দুর্গা, তুমি-ই কালী !
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :