প্রকাশের সময় :
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুক এখন জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ। বন্ধু ও স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ, দেশে বিশেষ করে প্রবাসী জীবনের প্রিয় সব মুহূর্ত ভাগ করা যেন জীবনেরই অংশ। শুধু তাই নয়, ব্যক্তিগতের সঙ্গে ফেসবুককে ব্যবসা প্রচার ও প্রসারে ব্যবহার করছেন অনেকে। তৈরি হচ্ছেন নতুন উদ্যোক্তা।
তবে এই সুবিধার সঙ্গে আছে তথ্য নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিও। হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে সব সময়ই সচেষ্ট। নির্দিষ্ট ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড হ্যাক করার সঙ্গে বহুমাত্রিক ম্যালওয়্যার আক্রমণ চালিয়ে থাকে তারা। এতে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও তথ্য নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়ে।
হ্যাকাররা সাধারণত অন্যের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করে দূর থেকে নজরদারি করে। এতে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য, পোস্ট, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি হ্যাকারের হাতে চলে যেতে পারে। এতে ব্যবহারকারীর ক্ষতি ও ঝুঁকিও বাড়ে।
হ্যাকারদের এমন নজরদারি এড়াতে প্রথমেই বেসিক কয়েকটি নিরাপত্তা সেটিংস চেক করা জরুরি। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট গোপনে অন্য কেউ ব্যবহার করছে কিনা, অপরিচিত কোনো যন্ত্র থেকে অ্যাকাউন্টে কেউ প্রবেশ করেছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে হবে।
ফেসবুক ‘সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি অপশন’ থেকে কোথায়, কখন, কোন কোন ডিভাইসে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন করা হয়– তা জানা যায়। সেটিংস অপশনে যেতে স্মার্টফোনের ফেসবুক অ্যাপ প্রোফাইল ছবিতে ট্যাপ করলে ‘সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি’ অপশন দৃশ্যমান হবে। এখানে ক্লিক করতে হবে। আবার সেটিংস অপশন নির্বাচন করে অ্যাকাউন্টস সেন্টারের নিচে থাকা ‘সি মোর ইন অ্যাকাউন্টস সেন্টার’ নামে অপশন আসবে, যা ট্যাপ করলেই ‘পাসওয়ার্ড অ্যান্ড সিকিউরিটি’ অপশন আসবে। ওই অপশনে ক্লিক করে সিকিউরিটি চেকসের নিচে থাকা ‘হোয়্যার ইউ আর লগড ইন’ ট্যাপ করে ‘অ্যাকাউন্ট’ নির্বাচন করলেই পরের পৃষ্ঠায় কোথায়, কখন, কোন কোন ডিভাইসে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন– তার তালিকা প্রদর্শিত হবে।
অচেনা কোনো ডিভাইসে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন করা থাকলে তাৎক্ষণিক তা থেকে দ্রুত লগআউট হয়ে অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বদলে নেওয়া জরুরি। এতে ফেসবুকে অপ্রত্যাশিত নজরদারি থেকে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের উচিত নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন হওয়া। নিয়মিত ফেসবুকের নিরাপত্তা সেটিংস চেক করা এবং অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড নিয়মিত পরিবর্তন করা। এতে ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা নিতে গিয়ে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও তথ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি এড়াতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
