বগুড়া-শীত মানব মনে এক বিচিত্র অনুভুতির সঞ্চার করে দেয়। শীত এসে মানুষকে আরও প্রাণচঞ্চল ও আনন্দমুখর করে তোলে। মানুষ এখন নানা সাজে নিজেকে আরো মনোরম করে তোলে। শীত পড়ার সাথে সাথে আকবরিয়ার হরেক রকম পিঠার কদর বেড়েছে। সবাই মিলে গল্প-গুজবে মশগুল হয়।
পল্লী গ্রামে শীতে বেশী উপভোগ হয়ে ওঠে শীতের পিঠে খাওয়ার মাধ্যমে। ‘পৌষ পার্বণে পিঠা খেতে বসে খুশিতে বিষম খেয়ে আরও উল্লাস বাড়িয়েছে মায়ের বকুনি খেয়ে’, শীতের সকালে রকমারী খাবার তৈরি হয়। গাঁয়ের প্রতিটি ঘরে লেগে যায় পিঠা তৈরির ধুম। গাঁয়ের মেয়েরা নিজেদের কুশলতার পরিচয় দেয় পিঠা তৈরির মাধ্যমে। শীতের সকালে নরম রোদে বসে পিঠা খাওয়ার আনন্দ বোধ হয় সবারই জানা।
শহরের কৃত্রিমতার নিদারুন চাপে শীতের সকাল তার নিজস্ব রূপে প্রকাশিত হতে পারে না। কারণ এখানে গ্রামের মতো কুয়াশার স্নিগ্ধ জৌলুষ নেই। তবু কুয়াশার বুক চিরে বাস-রিক্সা, অটোরিক্সা, প্রাইভেটকারসহ নানা যানবাহন দুলতে দুলতে শহরে প্রবেশ করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়কে আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে নানা ধরনের পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়।
গ্রামের দাদী-নানীদের পিঠা তৈরির স্মৃতি মনে পড়ে, পাশাপাশি মায়েরা তার সন্তানদের জন্য অপেক্ষা করে কখন সন্তানরা ছুটি পাবে, কবে আসবে নানা রকমের পিঠা তৈরি করে খাওয়াবে। শহুরে পরিবেশে গ্রামের পিঠা উৎসবের ঐতিহ্য ফিরে দিয়েছে আকবরিয়া যা মানব মনকে করছে চাঙ্গা।
বিশেষ করে ভাপা পিঠা, ঝাল কুশলি, তেল পিঠা, মনমোহনা পিঠা, খাস্তা পিঠা, শাহী পিঠা, ঝাল পিঠা, মিষ্টি কুশলী, সবজি কুশলী, পাটি শাপটা, দুধ পিঠা, দুধ কুশলী পিঠা, ভাপা পিঠা, ঝাল কুশলী, সবজি কুশলী, মিষ্টি কুশলী, মুগডালের নকশী পিঠা, আন্দেশা পিঠা, সিদ্ধ পুলি পিঠা, নারিকেলের রস পিঠা, খির পিঠা, চিতই পিঠা, খেজুর পিঠাসহ হরেক রকম পিঠা স্থান পেয়েছে আকবরিয়ার শাখাগুলোতে। আকবরিয়ার এ আয়োজন শুধু ব্যবসায়িক ক্ষেত্র নয়, এটি মানুষের মাঝে সেতৃবন্ধন ও অতীতকে ধরে রাখার নামান্তর।
পিঠা ক্রেতা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রী রোকসানা খাতুন রুকু জানান, নিউ মার্কেটে কেনা-কাটা সেরে যখন বাড়ির দিকে ফিরে যেতে ধরি আকবরিয়ার হরেক রকম পিঠার গন্ধে অতীতের স্মৃতি মনে পড়ে যায়। পিঠা ক্রয় না করে বাড়ি ফিরতে মন চায় না।
আকবরিয়া লিমিটেড এর চেয়ারম্যান হাসান আলী আলালের সাথে আলাপকালে জানান, শহরের পরিবেশে গ্রামের এ পিঠা তৈরির ধুম বিলুপ্তির পথে। এখন আর পিঠা তৈরির ভাবনা নয়। হাতের নাগালে কমমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকমের পিঠা আকবরিয়ার শাখাগুলোতে। গ্রামীণ কৃষ্টি পিঠা উৎসবের পূর্ণতা দিতে বদ্ধপরিকর আকবরিয়া।
ভিসি/এমকে
আপনার মতামত লিখুন :