দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাতিল হওয়া লালমনিরহাট সদর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর বৈধতা পেলেন জাবেদ হোসেন বক্কর হাইকোর্টের আদেশে মনোনয়ন পত্রের বৈধতা ফিরে পেলেন ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়াম হলরুমে আপিল শুনানির পর রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা জাবেদ হোসেন বক্করের মনোনয়নপত্রের বৈধতার রায় দেয়। এতে করে তার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কোন আইনগত বাধা রইল না।
প্রার্থী জাবেদ হোসেন বক্করের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবু বসির সামু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাবেদ হোসেন বক্কর লালমনিরহাট সদর-৩ (সংসদীয় আসন-১৮) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
আইনজীবী ব্যারিস্টার আবু বসির সামু বলেন, এক শতাংশ ভোটারের সংখ্যায় গরমিল থাকা এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের পদত্যাগ পত্র গৃহিত না হওয়ায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্যাহ তার প্রার্থিতা বাতিল করেছিলেন, পরে আমরা আপিল করি। শুনানি শেষে আদালত প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় এক শতাংশ ভোটারের সংখ্যায় গরমিল ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের পদত্যাগ পত্র গৃহিত না হওয়ায় জাবেদ হোসেন বক্করের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসন সভাকক্ষে।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত ২৯ নভেম্বর এমপি পদে মোট আটজন মনোনয়নপত্র জমা দেন। ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্যাহ একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী জাবেদ হোসেন বক্করের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। শুনানি শেষে ১৩ ডিসেম্বর সকালে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
লালমনিরহাট সদর-৩ আসনের অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ জাহিদ হাসান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের মনোনীত মোঃ আশরাফুল আলম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মোঃ মতিয়ার রহমান, জাকের পার্টি মনোনীত মোঃ শকিউজ্জামান মিয়া, জাসদ মমোনীত আবু তৈয়ব মোঃ আজামুল হক, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত মোঃ শামীম আহমেদ চৌধুরী ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শ্রী হরিশচন্দ্র রায়।
আপনার মতামত লিখুন :