পিতা ছিলেন দক্ষ অস্ত্র তৈরির কারিগর তাকে সাহায্য করতে পাশে থাকতেন ছেলে মনিরুল হক। এরপর ছেলে মনিরুল হক নিজেই কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড়ে গহীন পাহাড়ে গড়ে তুলেন অস্ত্রের কারখানা। যেখানে সরঞ্জাম আনা হতো ঢাকা ও চট্রগ্রাম থেকে। নিরাপদে পাহাড়ে গড়ে তুলেন অবৈধ অস্ত্রের কারখানা।
কক্সবাজারের রামুর ঈদগড়ে এমন একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায় র্যাব। তবে র্যাবের অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যায় মনিরুল হক।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে কারখানা গড়ে তুলে অস্ত্র তৈরী করে আসছিলো একটি চক্র। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কারখানা থেকে দুইজন এবং পাশের বসতবাড়ি থেকে ২ জনকে আটক করা হয়।
র্যাব করেন, আটককৃতদের মধ্যে মাঈন উদ্দিন পেশায় একজন গ্রাম্য চিকিৎসক। তিনিই মিডিয়াম্যান হিসেবে কাজ করতো। মাঈন উদ্দিন এবং জাফর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছ থেকে ডিমান্ড নিয়ে মনিরুল হককে তথ্য আদান-প্রদান করতো। তারপর চাহিদা অনুযায়ী অস্ত্র তৈরি করে সরবরাহ করত। প্রতিটি অস্ত্রের দাম ধরা হতো ৩০/৫০ হাজার টাকা।
নির্বাচনকালীন সময়ে অস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে জানিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা, নবী হোসাইন গ্রুপসহ বিভিন্ন ডাকাত, অপহরণের সাথে জড়িত গ্রুপের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করা হতো এই কারখানা থেকে। নির্বাচনকালীন অস্ত্রের চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোররাতে ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটা তুলাতলী পাহাড়ে এই অস্ত্র কারখানার সন্ধান পায় বলে জানায় র্যাব -১৫।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঈদগড়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব। এসময় র্যাব -১৫ এর অধিনায়ক বলেন, অভিযানে আটক করা হয় মাঈন উদ্দিন, জাফর আলম, লাল মিয়া ও সাহাবউদ্দিন নামের ৪ জনকে। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জামসহ ১০ টি অস্ত্র ও ২২ রাউন্ড গুলি।
সন্ত্রাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এমন অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানায় র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন।
ভিসি/এমএড
আপনার মতামত লিখুন :