রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নিজপাড়া নতুন মাঠেরপাড় গ্রামে তিন বিঘা জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে বারি -৪ জাতের আমের বাগান করে সারাফেলেছে সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন। এ বাগানে তার খরচ এযাবত খরছ হয়েছে প্রায় তিন লক্ষ টাকা। তিনি আম বাগানে সাথে সাথী ফসল হিসেবে এখন রয়েছে শসা, করলা,পানি কুমড়া-সহ বিভিন্ন সবজি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন এ সাংবাদিক। তিন বিঘা জমিতে বিভিন্ন সবজি লাগিয়ে আমের পাশাপাশি অতিরিক্ত আয় করেছেন। ওই সাংবাদিক এর মত অনেকেই বর্তমানে সাথী ফসলে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
উপজেলার সাহাবাজ গ্রামের জামাই টারী এলাকার মোঃ আবু তালেব প্রামানিক এর ছেলে সাংবাদিক মোঃ মোশারফ হোসেন (৪১)। কৃষিতে নতুন কিছু করাই যেন তার নেশা। ধান, পাটের পাশাপাশি তিনি নানা ধরনের ফল ও সবজির চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। তার কর্মে আকৃষ্ট হয়ে এলাকার অনেকেই সাংবাদিক মোশারফ কে অনুসরণ করতে শুরু করেছেন। তিনি দেশের বিভিন্ন জেলার আম বাগান ঘুরে দেখে আম চাষে উৎসাহিত হন। তিনি আম চাষে কাউনিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীন ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাধল চন্দ্র রায় এর পরামর্শ নিয়ে আম চারা ও পরিচর্যা করছেন।
আজ বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আম গাছের ফাঁকে ফাঁকে শসা, করলা,পানি কুমড়া-সহ বিভিন্ন সবজি চারা রয়েছে ।
সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন বলেন, একই জমিতে দুই ফসল করায় আমার বাড়তি কোন ব্যয় বা পরিশ্রম করতে হয়নি। কিন্তু চার্জার স্প্রে মেশিন না থাকায় খরচ ও পরিশ্রম অনেক বেশি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে আমাকে একটি স্প্রে মেশিন দিলে উপকার হতো।
কাউনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ শাহানাজ পারভীন বলেন, বারি-৪ জাতের আম চাষ বেশ লাভজনক ও শুশাদু। কৃষকরা নানা ধরনের ফসল উৎপাদন করে বেশ আগে থেকেই কৃষিতে চমক সৃষ্টি করে আসছে। এক ফসলের সাথে আরেক ফসলের চাষ এটি নিঃসন্দেহে একটি ভাল দিক। কৃষক যাতে আরও লাভবান হয় তার জন্য আমরা কৃষি অফিস সর্বদা কৃষকদের সহযোগীতা প্রদান করে যাচ্ছি। নিয়মিত পরিচর্যা ও সময়মত স্প্রে করতে পারলে ভাল ফলন ও লাভবান হবেন কৃষক।
আপনার মতামত লিখুন :