সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে নিয়মিত চলছে তিন বাহিনীর সদস্যদের কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি ও মোটরসাইকেল মহড়া।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান রিপন পরিদর্শনে এসে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানান, ইতিমধ্যেই স্মৃতিসৌধের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আমরা পরিদর্শনে এসে দেখেছি মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কে শ্রদ্ধার জানানোর জন্য ইতিমধ্যেই স্মৃতিসৌধ প্রস্তুত। ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হয়েছে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা। রাখা হয়েছে রঙিন ফুলের গাছ।
এই সাজসজ্জা ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৫২ উদযাপন উপলক্ষে। প্রথম প্রহরে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিজয়ের ৫২ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুদিন আগেই জাতীয় স্মৃতিসৌধের সব ধরনের কাজ শেষ করেছে গণপূর্ত বিভাগ। স্মৃতিসৌধের ফটক থেকে মিনার পর্যন্ত পুরো এলাকা ধুয়েমুছে চকচকে করা হয়েছে। সৌধ চূড়া পরিষ্কার করার কাজ শেষ। লেকও পরিষ্কার করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে লাল-সবুজ আলো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা।
গণপূর্ত বিভাগের সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভোরের চেতনাকে জানান, বিজয়ের ৫২ উপলক্ষে দুই মাস আগেই স্মৃতিসৌধ পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। ফুল দিয়ে সাজানো, লেক সংস্কার, ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপনসহ সব কাজ পুরোপুরি শেষ। মিজানুর রহমান বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রস্তুত।
নবম পদাতিক ডিভিশনের নেতৃত্বে তিন বাহিনীর সদস্যরা কুচকাওয়াজের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মোটরসাইকেল মহড়ার প্রস্তুতিও চলছে।
‘১ ডিসেম্বর থেকে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকায় সিকিউরিটি ডেপ্লয় করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিজয় উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে কাজ করে যাচ্ছেন।’
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৮৪ একর জায়গাজুড়ে নির্মিত এই স্মৃতিসৌধে প্রতি বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান থেকে শুরু করে সব স্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
ভিসি/এমএড
আপনার মতামত লিখুন :