সর্বশেষ :

বগুড়ায় দেশি পেঁয়াজ আমদানি বাড়ার কারণে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক


জাহিদ হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি বগুড়া
ডিসেম্বর ১১, ২০২৩ । ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
বগুড়ায় দেশি পেঁয়াজ আমদানি বাড়ার কারণে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক
সংগৃহীত ছবি

বগুড়ায় দেশী পেঁয়াজের উৎপাদন ও বাজারজাতের কারনে দুদিনের ব্যবধানে আবার পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক। গত শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরের পর নাগাদ হঠাৎ পেঁয়াজের বাজার অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ার কারণে মূলত এই পেঁয়াজের বাজার অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে।

সোমবার (১১/১২/২০২৩ ইং) সরজমিনে বগুড়া রাজাবাজার পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে জানা যায়। দেশি পেঁয়াজের আমদানি বাড়ায় এবং বগুড়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নজরদারিতে ১১ তারিখ সকাল থেকে বগুড়ায় পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক।

এ বিষয়ে বগুড়া রাজাবাজারের আরৎদার মেসার্স সারিয়াকান্দি ভান্ডারের প্রোপাইটর, পিন্টু মিয়ার জামাই মো: পায়েল ইসলাম জানায়, বাজারে দেশি পেঁয়াজের আমদানি বাড়ার কারণে পেঁয়াজের বাজার মূলত স্বাভাবিক।

তিনি আরো জানান, পাইকারি দরে  গত ৮ ডিসেম্বর, দেশি পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা এবং এল সি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এছাড়া চলতি মাসের ৯ তারিখে সকাল নাগাদ দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ এবং এল সি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। পরবর্তীতে ৯ ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার দুপুরের পর হঠাৎ দাম বেড়ে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দারায় ।

কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইন্ডিয়া থেকে পেজ আমদানি বন্ধ হওয়ার কারণে হঠাৎ বাজারে এই বৃদ্ধি করন দেখা যায়। এরপর থেকে পেঁয়াজকে নিয়ে সারা বাংলাদেশ জুড়ে নানান জল্পনা কল্পনা শেষে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) থেকে সকাল থেকে বগুড়ার রাজাবাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসে।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাজাবাজারে পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়,  দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা ও এলসি পেঁয়াজ ১৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। যা খুচরা বাজারে ১১০ টাকা ওএলসি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়াও পুরাতন পেঁয়াজ  পাইকারি ১৩০ টাকা খুচরা মার্কেটে ১৫০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।

অপরদিকে আলু, আদা, রসুন এর বাজার স্বাভাবিক দেখা যায়। ১১ ই ডিসেম্বরে আলুর বাজার পাইকারি দরে বিক্রি করতে দেখা যায় পুরাতন পাকড়ি ৭৫  টাকা ও নতুন পাকড়ি ৭০ টাকা  বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন কাটিলাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ এবং নতুন কাটি লাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫  টাকা দরে।

খুচরা বাজারে নতুন আলু বিক্রি করতে দেখা গেছে, ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে। আদা পাইকারি ১৬০ টাকা কেজি ও রসুন ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি খুচরা মার্কেটে আদা বিক্রি করতে দেখা গেছে ১৮০ এবং রসুন বিক্রি করতে দেখা গেছে ২৩০ টাকা কেজি।

এলাকা ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কাঁচাবাজার বিভিন্ন দরেও বিক্রি করতে দেখা যায়।


ভিসি/এমকে


পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১