শীতের মৌসুম মানেই রং বেরংয়ের গাঁদার বাহার। ঘরের সামনে, ছাদে, বাগানে অনেকেই শখ করে অন্যান্য ফুলের পাশাপাশি এই ফুল গাছ লাগান। গাঁদার রয়েছে দারুণ ঔষধি গুণ। রূপসজ্জাতেও গাঁদার রয়েছে দারুণ ভূমিকা। ত্বকের যত্নে গাঁদা ফুল যে কত উপকারী জানলে চমকে উঠবেন।
গাঁদা ফুলের রয়েছে কী কী গুণ?
গাঁদা ফুলকে ক্যালেন্ডুলাও বলে। এতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও ব্যবহার হয় গাঁদার রস।
গাঁদার পাপড়ি বিশেষ উপায়ে শুকিয়ে তৈরি করা হয় একধরনের তেল। যা স্কিনে লাগালে শুষ্ক ত্বকে ফেরে নবজীবন। এই তেল ত্বকে বলিরেখা আসতে দেয় না। অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকায় ব্রণ হওয়া আটকায়।
কীভাবে তৈরি করবেন গাঁদা থেকে ফেসিয়াল অয়েল?
ক্যালেন্ডুলা অর্থাৎ মারিগোল্ড বাংলায় যাকে বলে গাঁদা ফুল। সেই ফুলের পাপড়ি সংগ্রহ করে শুকিয়ে নিতে হবে প্রথমে। এরপর জোজোবা, অলিভ অথবা সুইট আমন্ড অয়েলে ভিজিয়ে রাখতে হবে ওই পাপড়ি। কয়েক সপ্তাহ পর পাপড়িগুলো ছেঁকে আলাদা করে নিলেই তৈরি গাঁদার ফেসিয়াল অয়েল। মুখে লাগালেই মিটবে ত্বকের যে কোনো সমস্যা।
স্কিন সমস্যা মেটায় গাঁদার টোনারও
গাঁদা ফুল থেকে তৈরি হয় একধরনের চা। সেই চা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সেই চা-কে টোনার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। এতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকায় স্কিনের অ্যালার্জি জনিত সমস্যায় দারুণ কাজে দেয়। গাঁদার পাপড়ি পানিতে ভিজিয়ে সেই পানে গোসল সারলেও তরতাজা হয়ে ওঠে স্কিন।
গাঁদার ফেস মাস্ক
রুক্ষ শুষ্ক ত্বক থেকে তৈলাক্ত স্কিন, সবেতেই দারুণ কাজ করে গাঁদা ফুল থেকে তৈরি ফেস মাস্ক। এর জন্য গাঁদার পাতা দই ও মধু দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই দারুণ রেজাল্ট পাবেন।
গাঁদা ফুলের ক্রিম
মৌচাকের থেকে পাওয়া মোমের সঙ্গে গাঁদার তেল মেশালেই তৈরি দারুণ উপকারী ক্রিম। শীতের ফুটিফাটা ত্বকের মেরামতিতে গাঁদার ক্রিম দারুণ কাজ দেয়। মুহূর্তেই উধাও ত্বকের শুষ্কতা। এই কারণেই বাজার চলতি ক্রিম, ময়েশ্চারাইজারে ব্যবহার হয় গাঁদা ফুল।
সূত্র: দৈ/যু
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :