সুস্থ সংস্কৃতি চর্চাই হোক আলোকিত জীবনের অন্বেষা – এই স্লোগানকে মূলমন্ত্র করে ২০০৫ সালের ৭ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ শহরে সুস্থধারার সংস্কৃতি চর্চার ব্রত নিয়ে দীপায়ন সাংস্কৃতিক একাডেমী ঝিনাইদহে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সংগঠনটি বর্তমানে ঝিনাইদহ সংস্কৃতি অঙ্গনে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে এবং সংস্কৃতি চর্চা করে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই সুনামের সহিত অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল চিন্তা চেতনায় অপসংস্কৃতির করাল গ্রাস থেকে দেশীয় সংস্কৃতি চর্চাকে বেগবান করার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম করে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য এযাবৎ সংগঠনটি ৩৭টি মঞ্চ ও পথনাটকের নাটকের ১২৩টি সফল মঞ্চায়ন সম্পন্ন করেছে।
এছাড়াও বাল্য বিবাহ, যৌতুক, বহু বিবাহ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধমূলক কাজ করে থাকেন। নিয়মিত সংগীত, অভিনয় ও আবৃত্তি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যায় সাপ্তাহিক একক সংগীত জলসার আয়োজন করা হয় যেটা এখনো পর্যন্ত চলমান আছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় দীপায়ন সাংস্কৃতিক একাডেমী ঝিনাইদহের গৌরবোজ্জ্বল ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে, ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ- মাগুরা সংরক্ষিত মহিলা আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য খালেদা খানম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিও ঝিনাইদহের নির্বাহী পরিচালক সামছুল আলম, দীপায়ন সাংস্কৃতিক একাডেমী ঝিনাইদহের উপদেষ্টা রুহুল কুদ্দুস খান দুদু, ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটির সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক সাহিদুল এনাম পল্লব। সভাপতিত্ব করেন দীপায়ন সাংস্কৃতিক একাডেমী ঝিনাইদহের সভাপতি সাইফুল আলম মিলন। অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বি এম আনোয়ার হোসাইন। মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করে দারুণ খুশি উপস্থিত দর্শক শ্রোতাবৃন্দ। শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে মধ্যরাত অবধি অনুষ্ঠান উপভোগ করেন সংগীত অনুরাগী দর্শকবৃন্দ। সংগীত পরিবেশন গোলাম কুদ্দুস, রওশন আলী বিশ্বাস, মোস্তাফিজুর রহমান নয়, পল্লব বিশ্বাস, কাওসার আলী, আনোয়ার হোসেন, ফারুক হোসেন লিটন, আবুল কালাম ও অতিথি শিল্পী মেঘলা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক হরিশ চন্দ্র রায়, নৃত্য পরিবেশন করেন মৃতিকা। কির্বোড বাজান আমিনুর রহমান আগা খান, প্যাডে ছিলেন কাঞ্চন বিশ্বাস ও বাংলার ঢোল বাজান উত্তম বিশ্বাস।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আলমে দেশে সংস্কৃতি চর্চার দ্বার উম্মুক্ত তাই শিল্পীরা কোন বাঁধা ছাড়াই সংগীত ও নাটকের চর্চা করতে পারেন। আর এট সম্ভব হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য। তিনি যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন তাহলে দেশ স্বাধীন হতো না আর দেশ স্বাধীন না হলে সংস্কৃতি কেন কোন কাজই আমরা প্রাণ খুলে করতে পারতাম না। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সংস্কৃতি খ্যাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আগে একটি মাত্র টিভি চ্যানেল ছিল বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অনেক টিভি চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছেন যার দরুন বেশি পরিমাণে বাংলা নাটক, ছায়াছবির ও সংগীত পরিবেশনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
ভিসি/এমকে
আপনার মতামত লিখুন :