রিজার্ভের পতনে আমদানি সংকট ঝুঁকি

রিজার্ভের পতনে আমদানি সংকট ঝুঁকি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় :

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগত কমছে। পাঁচ মাসে ৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার কমে রিজার্ভ নেমে এসেছে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ আরও কম।

রিজার্ভের এই টানাপতন আমদানি সংকট ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। বর্তমানে যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে চার মাসের কিছু কম সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

রিজার্ভ কমার প্রধান কারণ হলো আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) আমদানি ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৭০ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে রপ্তানি আয় বেড়ে হয়েছে ৬৪ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে, প্রকল্প ব্যয় মেটাতে সরকারের কাছে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির অঙ্ক ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাব আগামী সপ্তাহে সংস্থাটির বোর্ড সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হচ্ছে। এই কিস্তিটা পেলে কিছুটা বাড়বে দেশের রিজার্ভ।

তবে, রিজার্ভের টানাপতন রোধে আমদানি ব্যয় কমানো এবং রপ্তানি আয় বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।

রিজার্ভের টানাপতন বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। রিজার্ভ কমে গেলে আমদানি ব্যয় মেটাতে সমস্যা হবে। এতে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। পাশাপাশি, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করাও কঠিন হবে।

রিজার্ভের টানাপতন রোধে সরকারের আমদানি ব্যয় কমানো এবং রপ্তানি আয় বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্যও পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

দৈ/যু