সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভেষজ ওষুধের নামে ভেজাল ও ক্ষতিকর পণ্যের বাণিজ্য বেড়ে চলেছে। এসব পণ্যের কোনো অনুমোদন নেই। এতে শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন মানুষ।
সম্প্রতি যুগান্তর পত্রিকার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ফেসবুকে সহস্রাধিক পেজ রয়েছে যেগুলো ভেষজ ওষুধের নামে ভেজাল ও ক্ষতিকর পণ্য বিক্রি করছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হাঁপানি, গ্যাস্ট্রিক, চুল পড়া, ত্বকের সমস্যা, পাইলস, অর্শ্ব, শারীরিক ব্যথা, জ্বর, সর্দি-কাশি, ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ।
এসব পণ্যের প্রচার-প্রচারণাও চোখে পড়ার মতো। ফেসবুক পেজে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করা হচ্ছে। বিজ্ঞাপনে দাবি করা হচ্ছে, এসব ওষুধ শতভাগ কার্যকর এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ওষুধের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এসব ওষুধে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে। এতে শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিও হতে পারে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও আইন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম জানান, ফেসবুকে ভেষজ ওষুধের নামে ভেজাল ও ক্ষতিকর পণ্য বিক্রি করা অবৈধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য সাত লাখ টাকা জরিমানা এবং পাঁচ বছরের জেলের বিধান রয়েছে।
তিনি বলেন, অধিদপ্তর এ ধরনের অপরাধ দমনে কাজ করছে। কেউ এ ধরনের অপরাধের খবর পেলে অধিদপ্তরকে জানাতে পারেন।
ভিসি/এমকে
আপনার মতামত লিখুন :