চিকিৎসার অভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন শরিফুল

চিকিৎসার অভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন শরিফুল
রেজাউল ইসলাম, হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি 
প্রকাশের সময় :

মানসিক ভারসাম্যহীন শরিফুল (২৬) অন্য সব বাচ্চার মতো সুস্থ সবল সাভাবিক জন্মগ্রহণ করেছিল কিন্তু জন্মের ২ বছর বয়সে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সু-চিকিৎসার অভাবে হারিয়ে ফেলে মানসিক ভারসাম্য।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের উত্তর পারুলিয়া গ্রামের দিন মজুর আব্দুল গনির ছেলে শরিফুল।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জীর্ণশীর্ণহীন ঘরে আটকানো আছে শরিফুল। শরিফুলের দিন মজুর বাবা বাড়িতে না থাকায় এ প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেন তার মা কহিনুর বেগম।

কহিনুর বেগম বলেন, আমাদের অভাবের সংসার ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ছেলে শরিফুল। জন্মের ২ বছর পর্যন্ত সুস্থ সবল ভালো ছিল এরই মধ্যে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হলে টাকার অভাবে ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারিনি ফলে আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্য হরিয়ে ফেলে। সে মা, মামা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারেনা। শরিফুলের প্রচুর ক্ষুধা সবসময় খেতে চায় এবং অনেক গুলো করে খাবার খায় যা আমার দিনমজুর স্বামীর সংসার চালানো দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, শরিফুল মানসিক ভারসাম্য হরিয়ে ফেলার কারণে সবসময় পাগলামি করে। বছরে দুই থেকে তিনবার এত বেপরোয়া হয়ে উঠে যে তখন শিকল দিয়ে বেধে রাখতে হয় যা মা হিসেবে সয্য করতে পারিনা।

সরকারি কোনো সাহায্য সহযোগিতা পান কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শরিফুলের নামে প্রতিবন্ধী ভাতা আছে তাছাড়া কোন সাহায্য সহযোগিতা পাইনা।

মানসিক ভারসাম্যহীন শরিফুলের উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া বোন শাহিদা আক্তার বলেন, শুনেছি প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে অসহায় দুস্ত লোকজন চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা পান। আমার ভাই যদি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য পেতো তাহলে তার সু-চিকিৎসা করানো যেতো। এছাড়াও সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সাহায্যেের জন্য অনুরোধ করেন।

পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাদাত বলেন, পরিবারটি অসহায় আমার ইউনিয়ন থেকে যতটুকু পারি সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

এবিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন শরিফুলের নামে প্রতিবন্ধী ভাতা আছে। এছাড়াও সু-চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।