পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দুই জেলেকে ওই ট্রলারের মাঝিসহ বাকি তিনজন মিলে বেধড়ক মারধর করেন। প্রত্যক্ষদর্শী এক পর্যটক এ দৃশ্য দেখে ৯৯৯-এ ফোন করলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ তাদেরকে আটক করে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে কুয়াকাটা সৈকতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা সৈকত এলাকায় নোঙ্গর করা একটি ট্রলারে ওই জেলেদের মারধরের দৃশ্য চোখে পড়লে মেহেদী নামের এক পর্যটক ৯৯৯-এ ফোন করেন। পরে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নির্যাতিত দুইজনকে হেফাজতে নেয় এবং বাকিদের আটক করে।
আটকরা হলেন- ওই ট্রলারের মাঝি তপন দাস (৩০) ও তার দুই সহযোগী রফিক এবং তারেক। তারা সবাই চট্টগ্রামের বাসিন্দা। মারধরের শিকার জেলে আকাশ (১৬) চট্টগ্রামের পটিয়া এলাকার মনজুর আলমের ছেলে ও কামাল হোসেন (১৭) ঈদগা এলাকার মো. নুরুল আমিনের ছেলে।
ভুক্তভোগীরা জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকার মোজাফফর নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ট্রলারে দীর্ঘদিন ধরে মাছ শিকার করে আসছেন তারা। গত ৫ দিন আগে ফের তারা সমুদ্রে যান। পরবর্তীতে বকেয়া টাকা এবং টাকা না পেলে মাছ ধরতে অস্বীকৃতি জানালে ওই ট্রলারের মাঝি তপনসহ তার দুই সহযোগী তাদেরকে বেধড়ক মারধর করেন।
কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, নির্যাতিতদেরকে গভীর সমুদ্রে বেশ কয়েকবার মারধর করা হয়েছে। পরে যখন আজ মাছ বিক্রির জন্য কুয়াকাটায় ট্রলার নোঙর করা হয় তখন তারা নেমে চলে যেতে চান। এ কারণে তাদেরকে আবারো মারধর করা হয়। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আমরা অভিযুক্তদের আটক করেছি এবং মারধরের শিকার আকাশ ও কামাল আমাদের হেফাজতে আছে। এখন আমরা তাদের অভিভাবককে জানাবো। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিসি/এমএড
আপনার মতামত লিখুন :