নওগাঁর সীমান্তবর্তী উপজেলা সাপাহার। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মামুনের ছোঁয়ায় বদলে গেছে উপজেলার অবকাঠামো গড়ে উঠেছে বিভিন্ন নান্দনিক ভাস্কর্য।
জবই বিল মাছ চত্বর: এখানকার ‘জবই বিল’ দেশের উত্তরাঞ্চলের একটি বৃহৎ বিল। সাপাহার উপজেলা প্রশাসন জবই বিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নিমার্ন করেছেন নান্দনিক ভাস্কর্য ‘জবই বিল মাছ চত্বর’। পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াচ্ছে উপজেলা প্রশাসনের নির্মিত মৎস্য সম্পদের প্রতীক চারটি মাছের সমন্বিত নান্দনিক ভাস্কর্য ‘জবই বিল মাছ চত্বর’। এছাড়া বিলের মধ্যদিয়ে বয়ে চলা আঁকাবাঁকা রাস্তার দুই ধারে লাল, হলুদ, সাদা রঙে সুসজ্জিত সারি সারি পিলার, প্রবেশমুখে ‘জবই বিল’ লেখা সেলফি পয়েন্ট, রাস্তার দুধারে দৃষ্টিনন্দন বসার ১২টি বেঞ্চ, জবই ব্রিজের পশ্চিম পাশে নির্মিত ‘বিল বিলাস’ নামক দুটি ভিউ পয়েন্ট দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে বিল এলাকায় বসানো হয়েছে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র।
জয় বাংলা চত্বর: নওগাঁর সাপাহার উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের দৃশ্যকল্প নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ‘জয় বাংলা চত্বর’ নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুনের উদ্যোগে এটি নির্মাণ করা হয়।
জানা যায়, ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ৭ই মার্চের ভাষণের অন্যতম স্লোগান ‘জয় বাংলা’ এখন জাতীয় স্লোগান হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সেই স্লোগানকে অবকাঠামোগত রূপ দিতে সাপাহার উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ‘জয় বাংলা চত্বর’ নির্মাণ করা হয়েছে।
আম চত্বর: সাপাহার উপজেলা ইতিমধ্যেই সারাদেশে আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।এই উপজেলার আম বাজার হতে প্রতি বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার আম বানিজ্য হয়। নানান জাতের আম বাগানে পরিপূর্ণ এলাকার মাঠগুলো। সারি সারি আমবাগানের প্রায় প্রতিটি গাছেই ঝুলে আছে নানান জাতের আম। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুটি, আশ্বিনা, গোপালভোগ, হিমসাগর, আম্রপালী, হাড়িভাঙ্গা,খিরসাপাত, কাটিমন সহ নানান প্রজাতির আম। এই উপজেলা কে আমের রাজধানী হিসেবে রূপদান ও স্মৃতি বিজড়িত করতে আম চত্বরের তৈরি করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন।
সাপাহার ত্রিমাত্রিক মানচিত্র:
পদাঙ্ক: উপজেলা পরিষদ পুকুরের চারপাশে হাঁটার পথ। উপজেলা পরিষদ চত্বরের সৌন্দর্যবর্ধন ও উপজেলার সকল স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের হাঁটাহাঁটির জন্য উপজেলা পরিষদ পুকুরের চারপাশে ৯৭৮ ফিট দীর্ঘ ও ৭ ফিট প্রস্থ ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মামুন। সন্ধ্যা ও রাতে হাঁটার সুবিধার্থে ওয়াকওয়ের পাশদিয়ে ল্যাম্পপোস্ট ও লাইট স্থাপন করা হয়েছে। সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও গাছ লাগানোর জন্য পুকুরের চারপাশে দেওয়া হয়েছে কাঠের ফেঞ্চিং। এছাড়া পুকুরের চারপাশে প্যালাসাইডিং করা হয়েছে।
এসব নান্দনিক ভাস্কর্য ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে সাপাহারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, সাপাহার উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে পরিচিত করার লক্ষ্যে আমি বেশকিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছিলাম যা সকলের সহযোগিতায় বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতটুকু সফলতা পেয়েছি তবে আমি সাপাহার আসার পর থেকেই সাপাহার কে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে বাস্তবায়ন করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
ভিসি/এমকে
আপনার মতামত লিখুন :