সিঙ্গাপুরে ২০১৪ সাল থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক মানের এই কবিতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যা স্বনামধন্য বিচারক মণ্ডলী দ্বারা একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। সিঙ্গাপুরে কবিতা প্রতিযোগিতার এই আয়োজনটি দীর্ঘদিন এই দেশের স্থানীয় লেখক, কবি ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারণা ও গুরুত্ব পেয়ে আসছে। এটি সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকদের একটি বৃহৎ কবিতা প্রতিযোগিতা। স্থানীয় এবং অভিবাসী শ্রমিকদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরীতে এই আয়োজনের গুরুত্ব অপরিসীম।
সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া ও ফিলিপাইনসহ মোট ৯টি দেশের অভিবাসী শ্রমিকদের অংশ গ্রহণে এবারের কবিতা প্রতিযোগিতায় ১০২ টি কবিতার মধ্যে ১ম স্থান অধিকার করেছেন একজন বাংলাদেশী অভিবাসী বেলাল হাসান। পেশায় মেনুফেকচার্স কম্পানির স্টোর এবং লজিস্টিক ডিপার্টমেন্টের পরিচালক হিসেবে ২০১২ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে কাজ করছেন। তার লেখা “স্মৃতির পান্ডুলিপি” কবিতাটি এবারের আসরের সেরা কবিতা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
এবারের চুরান্ত পর্বের আয়োজনটি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল লাইব্রেরী বোর্ডের বিশাল হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বরাবরের মতো এবারও সিঙ্গাপুর এবং দেশ বিদেশের অনেক গুণী কবি ও লেখকরা উপস্থিত ছিলেন।
কবিতা প্রতিযোগিতার দীর্ঘ এই প্রক্রিয়াটি এ বছরের গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হয় এবং নভেম্বরের ২৬ তারিখে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অঙ্গসংগঠনের কর্মী ও অভিবাসী শ্রমিকদের উপস্থিতিতে বাছাইকৃত ২৪ জনের আবৃত্তি শুনে বিচারকেরা চুড়ান্ত ভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
অভিবাসী শ্রমিকরা কর্মজীবনের পাশাপাশি সেই অনুভূতিগুলো লেখার মাধ্যমে তাদের প্রতিভা বিকাশে সুযোগ করে দেওয়াই এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য বলে আয়োজক ও ভ্রমণবিলাসী লেখক শিবাজি দাস মত প্রকাশ করেন।
এই দেশের শিল্প সাংস্কৃতির ভান্ডার সম্বৃদ্ধিতে অভিবাসী শ্রমিকদের ভূমিকা অপরিসীম। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশে বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিকরা দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের প্রতিভার সাক্ষর রেখে আসছে। আমরা আশাবাদী আগামীতেও বাংলাদেশী অভিবাসীরা এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে বিজয়ী হয়ে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।
ভিসি/এমকে
আপনার মতামত লিখুন :