চাটখিলে মুক্তিযোদ্ধা আঃ রহিম পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ে বিনা বেতনে পাঠদান

চাটখিলে মুক্তিযোদ্ধা আঃ রহিম পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ে বিনা বেতনে পাঠদান
ইলিয়াছ, চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশের সময় :

নোয়াখালীর চাটখিল পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ড মির্জাপুরে মুক্তিযোদ্ধা আঃ রহিম পৌর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে বিনা বেতনে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছেন তারই বড় ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক সর্দারে আলম সুলীন। তিনি বিগত ২০০০ সালে ৭৫.২৫ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে এই বিদ্যালয় নির্মানের কাজ শুরু করেন। প্রতিষ্ঠার পর ১১বছর বিদ্যালয়টি জুনিয়র হাইস্কুল হিসেবে পরিচালিত হয়। গত ২০২২ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জুনিয়র হাইস্কুল থেকে বিদ্যালয়টি উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে ২০১৭ সালে। ২০১৭ সাল থেকেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অনুমিত পায়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ভাতাদি ও বিদ্যালয়ের যাবতীয় খরচ প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সর্দারে আলম সুলীন বহন করেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ে এমপিও ভুক্ত ৪জন ও ননএমপিও ভুক্ত ২জন শিক্ষক এবং এমপিও ভুক্ত ৫ জন কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সর্দরে আলম সুলীনের নির্দেশে বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী থেকে বেতন বা কোন ফি গ্রহন করা হয় না। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত ১৮০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এমপিও হওয়ার আগে বিদ্যালয়টি থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে গড়ে ৬০ শতাংশ উর্ত্তীণ হয়। এছাড়া এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর ১ম বর্ষে ২০২২ সালে শতভাগ পাশ করে। স্থানীয় এলাকাবাসী সরকারের কাছে বিদ্যালয়টির নবম ও দশম শ্রেনীকে দ্রুত এমপিও ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া জানান, শিক্ষার্থী ও শ্রেনী কার্যক্রম বিবেচনায় শিক্ষক সংখ্যা তুলনামুলক কম হওয়ায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সভা করে অতিথি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় সংখ্যক অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সর্দারে আলম সুলীন জানান, পৌরসভার মির্জাপুর এলাকাবাসী সহ পৌর এলাকায় শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার লক্ষ্যে তিনি, এই বিদ্যালয়টি তার বাবার নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিদ্যালয়ের যাবতীয় ব্যয়ভার তিনি নিজেই বহন করছেন। এবং তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। তিনি বিদ্যালয়টি সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য এলাকাবাসী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সর্দারে আলম সুলীন এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ছাড়াও এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মাদ্রাসায় অনুদান দিয়ে থাকেন। এছাড়াও তিনি স্থানীয় গরিব-অসহায়দের আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন।