২০০৮ সালে কুষ্টিয়া-২ আসনে মহাজোটের হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হন জাসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হন। তবে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আসনটিতে ছাড় দিতে নারাজ।
এর আগে গত রোববার কুষ্টিয়ার চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। তিনটি আসনেই প্রার্থী অপরিবর্তিত রয়েছে। জোটগত কারণে কুষ্টিয়া-২ আসনে কোনো প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনের নির্বাচনে অংশ নিতে মিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন। মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনি ওই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন ফরমও উত্তোলন করেছিলেন।
কামারুল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোরের চেতনা কে বলেন, আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। যেকোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হলে নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী বর্তমান পদ ছাড়তে হয়। জনগণের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। এলাকার উন্নয়নের জন্য জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই।
তিনি জাসদের সভাপতিকে উদ্দেশ করে বলেন, তিনি (ইনু) প্রায়ই বলেন ২০ পয়সা ছাড়া নাকি ৮০ পয়সা অচল। ২০ পয়সা না হলে ৮০ পয়সা নাকি ১০০ পয়সা হয় না। তাই বলতে চাই, এবার ৮০ পয়সাকে ছাড় দিয়ে নির্বাচনের মাঠে আসুন।
এ বিষয়ে জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন ভোরের চেতনা কে বলেন, স্ব-স্ব দল থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে মনোনয়ন তুলেছেন। আমরা জোটগতভাবেই নির্বাচন করব এবং ১৪ দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করব।
ভিসি/এমএড
আপনার মতামত লিখুন :