যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক কাস্টমস চেকপোস্ট থেকে গত ১৬ নভেম্বর ভ্রমণ কর জালিয়াতি চক্রের মূল হোতা শামিম কে প্রমান সহ হাতেনাতে আটক করেছিল বেনাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও আনছার সদস্যরা।
বেনাপোল চেকপোষ্টে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর জাল করে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিতো শামিম ও তার সহযোগীরা। এর আগে, গত বছরের জুলাইয়ে ৫০০ টাকার সমমান ট্যাক্স জালিয়াতির অভিযোগে শামিম কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর জামিনে মুক্তি পেয়ে ১৬ নভেম্বর আবারো ১০০০ টাকার সমমান জাল ভ্রমণ কর ফাকির অভিযোগে আবারো আটক হলেও ১৮ নভেম্বর সে আবারো মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরে এসে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে সেই ভ্রমনকর জালিয়াতীর মুল হোতা শামিম। ১৯ নভেম্বরে শামিম ভারতে প্রবেশ করেছে বলেও জানা যায়।
সরকারের কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েও কিভাবে শামিম জামিনে মুক্তি পায় সেটা নিয়ে তোলপাড় গণমাধ্যম কর্মী সহ এলাকাবাসীদের মধ্যে।
শামিম বেনাপোল পোর্ট থানাধীন সাদিপুর গ্রামের গোল্ড মোমিনের ছেলে।
জানা যায়, আটক কৃত শামিম এর পিতা আব্দুল মোমিন একজন চোরাচালানকারী। সে কয়েকবার বেনাপোল পোর্ট থানায় স্বর্ণ সহ আটক হলেও জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারও সে বিভিন্ন চোরাচালান, অর্থ পাচার, ভ্রমণ ট্যাক্স জালিয়াতি সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে সক্রিয় ভাবে কাজ করে চলেছে।
বেনাপোলবাসীরা বলেন, কি এমন ঐশ্বরিক ক্ষমতার বলে শামিম ও তার বাবা এভাবে নানা অপকর্ম করেও জামিনে মুক্তি পায়? সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়েও কিভাবে তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়?
প্রতিনিয়ত এসব নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হচ্ছে চেকপোস্ট এলাকায়। ভ্রমণ ট্যাক্স সঠিক কিনা তা পরিক্ষা নিরিক্ষার কোন উপায় না থাকায় সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিতে আরো চক্র তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাবে।
ভিসি/এমকে
আপনার মতামত লিখুন :