নওগাঁর মান্দায় উপজেলায় গত ১২ নভেম্বর ১৪ নং বিষ্ণুপুর ইউপি ভরট্ট শিবনগর এলাকার এক মেয়েকে অপহরণ করে একই উপজেলার ১১ নং কালিকাপুর ইউপির বার ট্যাগ গ্রামের রাজ্জাকের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৮) নামের এক বখাটে বিবাহিত এক যুবক।
সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীকে চককামদেব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আসার সময় এসিড মারার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি দেখিয়ে রাস্তা থেকে উঠিয়ে ঢাকায় যায়।
অপহরণ শিকারি ভুক্তভোগী বলেন, আমাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পর একটা বাসা ভাড়া করে সেখানে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক সহ নানান রকম অত্যাচার শুরু করে আলমগীর হোসেন। আমি তার শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে ওই বাসার একজনের মোবাইল নিয়ে আমার আম্মুর কাছে ফোন করি এবং নাম ঠিকানা বলি তারপর আমার মামা, চাচা, আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আমার মামা চাচার উপস্থিতি টের পেয়ে আলমগীর হোসেন (২৮) ওই এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা জানান, ওই ছেলে আমার মেয়েকে বিভিন্ন রকম ভাবে ডিস্টার্ব করত রাস্তাঘাটে এই বিষয় নিয়ে তার বাবাকে আমি বারবার জানিয়েছি। তারপরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি এ বিষয়ে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও জানেন। আমার মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণ করার জন্য মান্দা থানায় একটা অভিযোগ করি। অভিযোগ সূত্রে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আদালতে একটা মামলা দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছে। আমি নিজে বাদী হয়ে নওগাঁ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটা মামলা দায়ের করি।
তবে এ বিষয়ে অপহরণকারী আলমগীরের বাবা আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এ বিষয়ে মান্দা থানার এ.এস.আই ফরহাদ হোসেনে এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মেয়ের জবান বন্দী নিয়েছি, কিন্তু ছেলের বাসায় ছেলেকে পাওয়া যায়নি।
ভিসি/এমকে
আপনার মতামত লিখুন :