মিজানুর রহমান নামের এক যুবককে অপহরণের পর মুক্তিপন নিতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ইউপি সদস্য ও তার সহযোগী। শুক্রবার দিবাগত গভির রাতে গুরুদাসপুর উপজেলার মকিমপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ইউপি সদস্য মোঃ সেলিম হোসেন নাটোর সদর উপজেলার বাগরোম গ্রামের দুখু মিয়ার ছেলে। তিনি হালসা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। বাগরোম এলাকার নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এমন স্থানীয়রা বলেন যে তিনি দুই দুইবার এই ওয়ার্ডের মেম্বার সদস্য, অথচ এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সময়ে নারী সংগঠিত ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। ও সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত করে। গ্রেপ্তারকৃত অপর ব্যক্তি মুক্তার হোসেন একই গ্রামের বাসিন্দা। অপহরণের শিকার যুবক মিজানুর রহমান কাজল গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মকিমপুর গ্রামের সাহেদ আলীর ছেলে। এঘটনায় চারজনকে অভিযুক্ত করে শুক্রবার গুরুদাসপুর থানায় অপহরণ ও চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছেন মিজানুরের বড় ভাই আব্দুল কাদের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মিজানুর রহমানকে গুরুদাসপুরের নাজিরপুর বাজার থেকে অপহরণ করে ইউপি সদস্যের বাড়িতে আটকে রাখা হয়। সেখানে নিয়ে মিজানুরকে শারিরীক নির্যাতনের পর সাড়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয়। শুক্রবার সন্তানের খোঁজে গেলে মিজানুরের পিতাকেও মারধর করে আটকে রাখা হয়। পরে মিজানুরের পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তিপনের সাড়ে তিন লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। টাকা নিতে শুক্রবার রাতে ইউপি সদস্য সেলিম ও মুক্তার হোসেন গুরুদাসপুরের মকিমপুর গ্রামে এলে এলাকাবাসী তাদের আটকে পুলিশে খবর দেন।
অপহরণের শিকার মিজানুরের বড়ভাই মামলার বাদি আব্দুল কাদের বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে তার ভাইকে অপহরণ করে আটকে রেখে মক্তিপন দাবি করা হয়। বিষয়টি তারা পুলিশকে জানিয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বাগরোম গ্রাম থেকে তার ছোটভাই মিজানুর ও পিতা সাহেদ আলীকে উদ্ধার করে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, অপহরণের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ভিসি/এমএড
আপনার মতামত লিখুন :