নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুরের তোফা কাটা মোড় এলাকায় স্বাস্থ্য সেবিকা সেই স মাহমুদা আক্তার বিথির গলা কাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার সহ মূল হোতা জাহিদ হাসান নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে লালপুর থানার পুলিশ।
শুক্রবার (২৪শে নভেম্বর) দিবাগত রাতে লালপুর উপজেলার পাশ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলার আহমেদপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জাহিদ বড়াইগ্রামের কামারদহ গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।শনিবার(২৫শে নভেম্বর-২৩)দুপুরে তাকে নাটোর আদালতে তোলা হবে বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)উজ্জল হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,বৃহস্পতিবার রাতে বীথি ক্লিনিক থেকে কাজ শেষে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে এবং তার মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। পরে শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা তোফাকাটা মোড় এলাকায় তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। সেই সাথে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহের পাশে মানিব্যাগ ও পুরুষের ব্যবহৃত জুতা পড়ে থাকতে দেখে তা আলামত হিসাবে জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় সেদিন বিকেলেই ভিকটিমের বাবা আমজাদ হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেন।পরে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে একমাত্র অভিযুক্ত জাহিদ হাসানকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদ স্বীকার করেছে যে বিথীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় পূর্ব পরিকল্পনামাফিক বিথীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সে।লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর দাফন করা হয়েছে।
ভিসি/এমএড
আপনার মতামত লিখুন :