কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় তিন ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। সংঘর্ষে অন্তত ২০ /৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকায় স্থানীয় এমপি মজিবুল হক মুজিব ও সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময়ে মহাসড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা-১১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এবং চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
জানা যায়, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ নেতা-কর্মীরা সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে চৌদ্দগ্রাম বাজারে সমাবেশের ডাক দেয়। এতে সকাল থেকে সমাবেশ স্থলে লোকজন জড়ো হতে থাকলে সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হকের অনুসারীরা জড়ো হয়ে ধাওয়া করে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে দুই গ্রুপের অন্তত ২০/ ৩০ জন আহত হয়।
সংঘর্ষের সময় দুপক্ষই দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়কের মাঝে অবস্থান নেয়। তাদের মধ্যে থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া চলতে থাকে।এক পর্যায়ে সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের অনুসারীরা চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পুলিশ দীর্ঘক্ষন চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর সাড়ে বারটার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য এবং প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে এমপি সাহেবের লোকজন হামলা করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আপনার মতামত লিখুন :