দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে তীব্র তাপদাহের প্রভাবে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। গরমের হাত থেকে দেহ সতেজ রাখতে ভিড় জমাচ্ছেন কচি তালের শীস কিনতে। মানুষ দেহকে ক্লান্তিহীন রাখতে পুষ্টিগুণে ভরা তাল শাঁস খাচ্ছেন। গ্রীষ্মের এই দিনে কচি তালের কচি শাঁস জনপ্রিয় একটি খাবার মিষ্টি স্বাদের মোহ-নীয়াগন্ধে ভরা আগাম এসব তালের শাঁস এখন পাওয়া যাচ্ছে সব যায়গায়।
স্থানীয় হাটবাজার,বিভিন্ন সড়কের মোড়ে কচি তালের শাঁস বেচা-কেনার ধুম পড়েছে। এখন কচি তালের ভরা মৌসুম হওয়ায় স্থানীয়ভাবে স্বল্প আয়ের মানুষ তালের শাঁস বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারছেন। কাঁচা তালের প্রতি পিস আটি বিক্রি করা হচ্ছে ৫ টাকা করে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,উপজেলার কলাবাগান,নতুন বাজার, পুরাতন বাজার,ঢাকা মোড়, রেলগেটসহ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে কচি তালের শাঁসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি তাল শাঁস বিক্রেতারা। এসব দোকানে ছোট বড় সব শ্রেণি পেশার মানুষ তালের শাঁস কিনতে ভিড় করছেন। বিশেষ করে স্থানীয় বাজার গুলোতে তালের শীস খুঁজতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। এক সময় এ অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তার পাশে কিংবা বসতবাড়িতে অসংখ্য তালগাছের দেখা মিললেও কালের বিবর্তণে দিন দিন ঐতিহ্যবাহী এসব তালগাছ বিলুপ্তির পথে।
তালের শাঁস বিক্রেতা মো.রনি মিয়া বলেন, প্রতিদিন ৪-৫ হাজার টাকার তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে তার।
কলাবাগান মোড়ের মো.রনি জানান, গ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে ও জয়পুরহাট জেলার তিলকপুর থেকে কচি তাল সংগ্রহ করে এনেছি। খুচরাভাবে তালের প্রতি শাঁস-আটি বিক্রি করা হচ্ছে ৫ টাকা করে। আরও এক শাঁস বিক্রেতা জানান, বিভিন্ন এলাকার বাড়িতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট তাল গাছের মালিকদের কাছ থেকে চুক্তিতে কাচা তাল কিনে খুচরা বিক্রি করছি। গরমের পরিমান বেশী হওয়ায় খোলা বাজারে তালের শীসের চাহিদা বেড়েছে।
স্থানীয় চিকিৎসকগণদের মতে কচি তালের শাস লিভারের সমস্যা দূর করে। কচি তাল শাঁসে রয়েছে ভিটামিন সি ও বি এবং অবিশ্বাস্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। মৌসুমে স্বাস্থ্য উপকারিতায় বেশী করে কচি তালের শাস খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আপনার মতামত লিখুন :