সর্বশেষ :

টেংরামারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে তিন ছাত্রী আহত


হাবিবুল্লাহ, মণিরামপুর (যশোর) ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি
প্রকাশের সময় : মে ২৫, ২০২৩ । ৭:৫৮ অপরাহ্ণ
টেংরামারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে তিন ছাত্রী আহত

যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় স্কুল চলাকালীন সময়ে টেংরামারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে তিন ছাত্রী আহত হয়েছেন। আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চলছিল। বেশ কিছু দিন আগে ছাদে ফাটল দেখা দেয়। অতিরিক্ত ভবন না থাকায় ঝুকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস নিতে হয় শিক্ষার্থীদের।

ক্লাস চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করেই ছাদের কিছু অংশ ধসে শিক্ষার্থীদের মাথার উপর পড়ে। এসময় তিন ছাত্রী গুরুতর আহত হয়। আহত তিন ছাত্রী হলো, ষষ্ঠ শ্রেণির পূর্ণা দাস, সোনালী আক্তার ও জান্নাতুল ফেরদৌস। এদিকে ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়ায় বিদ্যালয়ে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এর পরপরই বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম রিপন বলেন, বেলা ১১টার দিকে ষষ্ঠ শ্রেণির ২য় পিরিয়ডে ‘জীবন ও জীবিকা’ ক্লাস নিতে শ্রেণি কক্ষে যাই। ক্লাস শুরু করার পরপরই বিকট শব্দ হয়ে ছাদের পলেস্তরা ছাত্রীদের গায়ে ধসে পড়ে। এতে শ্রেণি কক্ষে থাকা তিন ছাত্রী আহত হয়েছে।

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র রবিউল আলম রায়হান বলে, কয়েকদিন আগে আমাদের ক্লাস রুমে স্বাস্থ্য মেলা হয়েছে। ওই দিন শিক্ষকরা ছাদ ফেটে যাওয়ার বিষয়টি দেখতে পায়। তারপরও আমাদের নিয়মিত ওই কক্ষে ক্লাস চলে। আজ ছাদ ধসে পড়ার পর তিন জন আহত হয়েছে। আমার কোমরে এক টুকরা পড়েছে।

বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন বলে, ওই ভবনের নিচ তলায় আমাদের ইংরেজি ক্লাস চলছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে আমরা আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসি। পরে শুনি উপরে ছাদ ধসে ছাত্রীদের গায় পড়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাস চন্দ্র বলেন, কয়েকদিন ধরে দোতালার ষষ্ঠ শ্রেণি কক্ষের ছাদের পলেস্তরা ফাটল দেখে কক্ষের পশ্চিম পাশে ছাত্রীদের বসতে নিষেধ করা হয়েছিল। ছাত্রীদের নিষেধ করার পরেও ওরা সেখানে গিয়ে বসছে।

মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, ছাদের পলেস্তরা ধসে পড়ার বিষয়টি শুনেছি। আহত তিন ছাত্রীকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মণিরামপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস বলেন, আহত তিন ছাত্রীর অবস্থা স্বাভাবিক আছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী অভিভাবক নূর আলম ভান্ডারি বলেন, তিন দিন আগে বাচ্চারা ছাদের খারাপ দশা দেখে শিক্ষকদের ডেকে দেখানো হয়েছে। তাঁরা পরে দেখবে বলে বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে। ওই দিন ব্যবস্থা নিলে আজ এ দুর্ঘটনা ঘটতো না।

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সতর্কবাণী: এই সাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ এবং কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।