ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন বলে জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আদালতে মাহির ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর না করে মাহিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’
এর আগে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মাহিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে গ্রেফতারের পর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘মাহিয়া মাহি জমি সংক্রান্ত ঘটনায় পুলিশ বিভাগ, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ব্যাপারে ফেইসবুক লাইভে মিথ্যা মন্তব্য করেছেন। তিনি প্রতিপক্ষের ব্যাপারেও মন্তব্য করেছেন। এভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তিনি মন্তব্য করার অধিকার রাখেন না।’
শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুর পৌনে ১টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কমিশনার বলেন, ‘মাহির স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে এর আগে অস্ত্র, হত্যা ও ধর্ষণের তিনটি মামলা রয়েছে। ওই মামলাগুলোতে কেউ সাক্ষী দেননি। কিন্তু ঘটনা সত্য ছিল। তবে এখন মামলাগুলো পুনরায় তদন্ত ও সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া রকিবের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত আমাদের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ আসছে।’
শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে মাহি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এ ছাড়া জমি দখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।
এর আগে শুক্রবার ভোরে স্বামীর সঙ্গে ওমরাহ পালনরত মাহি সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে ফেসবুক লাইভে রকিবের গাড়ির শো-রুম ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ করেন।
এ সময় তিনি দাবি করে বলেন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে তার স্বামীর একটি গাড়ির শোরুম রয়েছে। সেখানে দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। তারা শোরুমের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাব, দরজা-জানালা, টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করেছে। শোরুমের সাইনবোর্ড খুলে ফেলেছে। অফিসকক্ষ তছনছ করে টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে গেছে।
ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন ও মামুন সরকার নামে দুজনের নেতৃত্বে ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মাহি। এ সময় ফেসবুকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি।
মাহির ফেসবুক লাইভের পর সংবাদ সম্মেলন করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, রকিব তার প্রায় সোয়া ১১ শতাংশ জমি দখল করে গাড়ির শো-রুম করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন দফতরে তিনি এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন।
ডিএস/বাট্রি
আপনার মতামত লিখুন :