লেখক
সাংবাদকর্মী : রাশেদুল আলম রাশেদ
আমার মতে,
সংসারে স্বামী স্ত্রী পরস্পরের সাথে পরস্পরের আচরণ হওয়া উচিত বন্ধুর মতো।এই যেমন; দু’জনার মাঝে যা কিছুই হোক,তা কেবল দুজনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা। রাগ-অভিমান,ঝগড়া কিংবা কথা-কা*টাকা*টি হলেও তা নিজেদের মধ্যে রেখে মীমাংসা কিংবা সমঝোতা করা।
স্বামী যাতে কখনোই কারো কাছে ছোট না হয়,সেদিকটা স্ত্রী দেখবে। আর স্ত্রী যাতে কারো কাছে ছোট না হয়,সেদিকটা স্বামী দেখবে এবং এটাই হওয়া উচিত।কখনো নিজের সামনে সঙ্গীকে অ*পমান-অ*পদস্ত যেন না হতে হয়,সেদিকটা পরস্পরকেই দেখতে হয়।
দু’জনার মাঝে এমন মিল থাকতে হবে,যাতে দু’জনের মধ্যে একজনকে কেউ কিছু বলার আগে শতবার ভেবে নেয়। পরস্পর পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়া,আন্তরিকতা তো অবশ্যই সবচেয়ে বেশি জরুরী।
অন্য কারো কথায় কান দেয়া যাবে না মোটেও,আগে নিজেদের প্রতি নিজেদের প্রবল আস্থা থাকতে হবে। কেউ কিছু বললে,আগে সঙ্গীর সাথে তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি,তা হচ্ছে;
সংসার জীবনে প্রায় প্রতিটি মানুষই বৈবাহিক ডিপ্রেশনে ভুগে!আর ঠিক সেই সময়ে সঙ্গীকে পুরোপুরি মানসিক সাপোর্ট দেয়াটা স্বামী স্ত্রী দু’জনেরই কর্তব্য।এই সময়টাতে সঙ্গীর ব্যবহার হওয়া উচিত একদম নমনীয়।কেননা সঙ্গীর থেকে বিশ্বস্ত এবং ভালো কোনো বন্ধু আর হতে পারে না।ডিপ্রেশন থেকে সঙ্গীকে বের করে আনতে না পারলে,আপনি সঙ্গী হিসাবে কেবলই ব্যর্থ!
মনে রাখবেন;
যে সংসারে স্বামী স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ নেই,সেই সংসারে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বেশি থাকে!আর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ ঠিক তখনই সৃষ্টি হয়,যখন পরস্পরের মধ্যে আন্তরিকতা,বোঝাপড়া এবং আস্থার ভিত্তি মজবুত হয়।আর যখন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়,তখন আর পৃথিবীর কোনো শক্তি তাদের আলাদা করতে পারে না।
আপনার মতামত লিখুন :